Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
TMC

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি

ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল নেতা আব্দুল মান্নান গাজির অনুগামী সেলিম সর্দার, হাবি সর্দার, বাকিবিল্লা সর্দার, শাহেনশা সর্দার ও তাদের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে।

সংঘর্ষে জখম। নিজস্ব চিত্র

সংঘর্ষে জখম। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাসন্তী শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২০ ০১:১৩
Share: Save:

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে বুধবার রাত থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় বাসন্তীর খেরিয়া গ্রামে। চার যুব তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের নাম মোশারফ হোসেন পিয়াদা, লাল্টু সর্দার, রেজাউল মণ্ডল ও আমানুল্লা সর্দার। রাতেই সকলকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন এলাকার মানুষ।

ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল নেতা আব্দুল মান্নান গাজির অনুগামী সেলিম সর্দার, হাবি সর্দার, বাকিবিল্লা সর্দার, শাহেনশা সর্দার ও তাদের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। চার তৃণমূল কর্মীকে আটক করছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় দু’বছর ধরে বাসন্তীতে তৃণমূলের কোনও ব্লক কমিটি ছিল না। বুধবার দলের তরফ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক করা হয়েছে আব্দুল মান্নান ওরফে মন্টু গাজিকে। এই খবর এলাকায় এসে পৌঁছতেই মন্টু ও তাঁর অনুগামীরা আনন্দে মেতে ওঠেন। যুব তৃণমূলের অভিযোগ, ক্ষমতা পেয়েই যুব তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা শুরু করে দেয় মন্টু ও তাঁর অনুগামীরা। বুধবার রাতে চার যুব তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয় খেরিয়া গ্রামে।

কাঁঠালবেরিয়া পঞ্চায়েতের যুব তৃণমূল সভাপতি সাইফুল মোল্লা বলেন, “আমরা এলাকায় যুব তৃণমূল করি বলেই আমাদের উপরে হামলা হয়েছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে মন্টু বলেন, “মদ্যপান করে গালিগালাজ করার কারণে এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করেন। তখন এলাকার মানুষকে মারতে যায় যুব তৃণমূল কিছু লোক। এলাকাবাসীই পাল্টা ওদের মারধর করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনীতি নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Clash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE