সাহসিনী: কলকাতায় অনুষ্ঠানে এক কিশোরী। নিজস্ব চিত্র
কাঁচা বয়সে নিজেদের বিয়ে রুখে দেওয়ায় দুই সাহসিনীকে পুরস্কৃত করল রাজ্য মহিলা কমিশন। মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকে জলসম্পদ ভবনের কমিউনিটি সেন্টারে মথুরাপুরম ১ ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির ওই দুই ছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
মাসখানেক আগে লালপুর গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রী রূপজান ঘরামি ও দশম শ্রেণির রফিজা পাইকের বিয়ের ঠিক হয়েছিল। বিয়েতে তাদের মত ছিল না। বাবা-মাকে সে কথা জানাতে পারেনি। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মোবাইল নম্বর জোগাড় করে সরাসরি ফোন করে তাঁকে। প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি খবর পেয়েই মেয়ে দু’টির সহপাঠীদের নিয়ে হাজির হন দুই পরিবারের কাছে। দিনমজুর বাবা-মাকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ হয়।
সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের ওই দুই ছাত্রীর এই সাহসকেই স্বীকৃতি দিল সরকার। দুই কিশোরীর হাতে ট্রফি ও ৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, সমাজকল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ঊর্মিমালা বসু-সহ অনেকে।
ছাত্রীরাও গর্বিত। তারা জানায়, এমন অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আনন্দ পেয়েছে খুব। আঠারো বছরের নীচে কোনও মেয়ের বিয়ের খবর পেলে তারা রুখে দেবে বলে জানিয়েছে। চন্দনবাবু বলেন, ‘‘সরকার আমাদের স্কুলের দুই ছাত্রীকে সম্বর্ধনা দেওয়া খুব ভাল লাগল। ওরা আরও নাবালিকা বিয়ে বন্ধের বিষয়ে উৎসাহ পেল। আমাদের সংকল্প ধারাবাহিক ভাবে চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy