পড়াব-যতনে: বনগাঁয় ছবিটি তুলেছেন নির্মাল্য প্রামাণিক
বনগাঁ শহরের ব্যস্ততম এলাকা বাটার মোড়। দ্রুত গতিতে বাইক চালিয়ে যশোর রোড ধরে যাচ্ছিলেন এক যুবক। সিভিক ভলান্টিয়াররা তাঁকে দাঁড় করালেন। এগিয়ে এল স্কুলের ছাত্রীরা। ওই যুবককের মাথায় পরিয়ে দেওয়া হল হেলমেট। কচি গলায় অনুরোধ এল, ‘‘কাকু, এ বার থেকে হেলমেট পরেই গাড়ি চালিও।’’ চলে যাওয়ার আগে যুবকটি বলে গেলেন, ‘‘বিনামূল্যে হেলমেট পেলাম। ভাল লাগছে। কিন্ত লজ্জাও হচ্ছে। আর এমন ভুল করব না।’’
শনিবার সকালে বাটার মোড়ে পুরসভার কর্মী, স্কুলপড়ুয়া, পুলিশ যৌথ ভাবে হেলমেটহীন বাইক চালকদের সচেতন করতে পথে নেমেছিলেন। বেশ কিছু বাইক চালককে এ দিন হেলমেট দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ সংক্রান্ত নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বনগাঁ মহকুমা জুড়ে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬-২১ অগস্ট ‘ট্রাফিক সপ্তাহ’ পালন করা হচ্ছে। এই উদ্যোগ তারই অঙ্গ। জেলা আঞ্চলিক পরিহবণ সংস্থার সরকারি সদস্য গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে বনগাঁ পুরসভাকে ৫০টি হেলমেট দেওয়া হয়েছে। হেলমেটহীন বাইক চালকদের মধ্যে তা বিলি করা হচ্ছে।’’
মাঝে পুলিশের কড়া নজরদারিতে হেলমেট পরার অভ্যাস খানিকটা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ইদানীং ফের তা কমছে। বনগাঁ মহকুমার যশোর রোড, বনগাঁ-চাকদহ সড়ক, বনগাঁ-বাগদা, রামনগর রোড, গোপালনগর-নাহাটা, গাইঘাটা-গোবরডাঙা সড়কে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, হু হু করে বেরিয়ে যাচ্ছেন হেমলেটহীন বাইক চালকেরা। সামনের জনের মাথায় যদি বা হেলমেট আছে, পিছনের সওয়ারির মাথা খালি। ছোট ছেলেমেয়েদের বাবারাও বাচ্চার মাথা খালি রেখে বাইক চালাচ্ছেন। সে জন্যই ফের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন প্রশাসনের কর্তারা।
বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে ভাষণে নিয়ম করে বলছেন, হেলমেট না পরা মানে তা আত্মহত্যার সামিল। হেলমেট না পড়লে দুর্ঘটনা ঘটলে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে ৮০ শতাংশ। কিন্তু এত কিছুর পরেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি না হওয়াটা ভাবাচ্ছে পুলিশ কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy