Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
West Bengal Lockdown

বন্ধ করা হল বাজার, ঘোরাঘুরি চলছেই

প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাণীপুর মাঠ বাজার, শ্যামসাহার বাজার, বাণীপুর চৌমাথা বাজার, জলের ট্যাঙ্কি বাজার এবং ইতনা বাজার বন্ধ করা হয়েছে।

এমন ভিড় দেখেই বন্ধ করা হল বাজার। হাবড়ায়। ছবি: সুজিত দুয়ারি

এমন ভিড় দেখেই বন্ধ করা হল বাজার। হাবড়ায়। ছবি: সুজিত দুয়ারি

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবড়া শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২০ ০৪:১১
Share: Save:

বন্ধ করা হল হাবড়া এলাকার পাঁচটি বাজার।

হাবড়া শহরের বাসিন্দা এক বৃদ্ধ বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরই সড়ক ও বাজার এলাকায় জমায়েত বন্ধ করতে আরও বেশি তৎপরতা শুরু করল পুলিশ প্রশাসন এবং পুরসভা।

হাবড়া ১ বিডিও শুভ্র নন্দী বলেন, ‘‘শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে হাবড়ার বাণীপুর এবং সংলগ্ন এলাকার পাঁচটি বাজার হাট বন্ধ করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’

প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাণীপুর মাঠ বাজার, শ্যামসাহার বাজার, বাণীপুর চৌমাথা বাজার, জলের ট্যাঙ্কি বাজার এবং ইতনা বাজার বন্ধ করা হয়েছে।

এ দিন সকাল থেকে প্রশাসনের তরফে হাবড়া শহরে মাইক প্রচার করে বলা হচ্ছে, শনিবার থেকে পাড়ায় পাড়ায় যে সব জায়গায় একটি মাত্র দোকান আছে সেগুলি খোলা। বাজার এলাকায় যেখানে একসঙ্গে পাশাপাশি অনেক দোকানপাট রয়েছে, সেগুলি এবং মার্কেট কমপ্লেক্স বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার হাবড়া শহরের যে এলাকার বাসিন্দা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেটি কনন্টেমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই এলাকার মধ্যে মোট ৭৪টি পরিবার রয়েছে। তাঁদেরকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সব পরিবারের জন্য একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের কাছে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার ফোন নম্বর পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রয়োজন মতো ওষুধ, দুধ-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে প্রশাসনের তরফে। তবে টাকা পরিবারগুলিকে দিতে হবে।

শুক্রবার ওই এলাকায় ঘুরে দেখেন বারাসত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সরকারি যোগাযোগ ছিল এমন সাতজনকে চিহ্নিত করে হোম কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। তাঁদের লালারস পরীক্ষা করা হবে।

তবে মানুষ এখনও সচেতন হচ্ছেন না। এ দিন সকালেও যশোর রোডের পাশে লোকজন দাঁড়িয়ে গল্প করছেন। বেপরোয়া গতিতে বাইক চলছে। মুখে মাস্ক না পরে মানুষ রাস্তায় বেরোচ্ছেন।

শহরবাসীর অভিযোগ, সন্ধ্যার পর পাড়ায় পাড়ায় লোকজন জমায়েত হয়ে গল্পগুজব করছেন। মাঠে বসছেন। তাস-মদের আসরও বসছে। পাড়ার মধ্যে বাইক নিয়ে যুবকেরা আনাগোনা করছে।

অন্য দিকে অশোকনগর -কল্যাণগড় শহরে পর পর দু’জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর মানুষ কিছুটা সচেতন হয়েছেন। রাস্তাঘাটে লোকজন কম বেরোচ্ছেন। তবে এ দিন শহরের রাস্তায় যানবাহন চলছে। ভ্যানচালকদের মুখে গামছা বেঁধে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। গোলবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গুপি মজুমদার বলেন, ‘‘বাজারে মাছের আড়তের ভিড় কমাতে একজন ব্যবসায়ী ২০ মিনিট করে সময় দেওয়া হচ্ছে মাছ কেনার জন্য। এর ফলে আড়তে শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকছে।’’ বৃহস্পতিবার যে ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর বাড়ির এলাকা স্যানিটাইজ করা হয়েছে। পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার বলেন, ‘‘শহরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। এটাই স্বস্তির।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal Lockdown Habra Market
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE