অবরুদ্ধ: আটকে রাখা হয়েছে পথ। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা
লকডাউন উপেক্ষা করেও বহু মানুষ বেরোচ্ছেন রাস্তায়। প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রয়োজনেই গ্রামের রাস্তা ব্যবহার করে যত্রতত্র যাওয়া-আসা করছেন কিছু মানুষ। এই পরিস্থিতি আটকাতে বাসন্তীর কুলতলির গ্রামের মানুষ পথ অবরোধ করলেন।
শুক্রবার কোথাও গাছের গুঁড়ি ফেলে আবার কোথাও ম্যানহোলের পাইপ রাস্তার উপর তুলে দিয়ে পথ অবরোধ করেন গ্রামের মানুষ। কুলতলি এলাকার এই রাস্তা ব্যবহার করেন আশপাশের বহু মানুষ। বিশেষ করে চাতরাখালি ২ নম্বর, সোনাখালি, নেবুখালি, ফুলমালঞ্চ-সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করে থাকেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে লকডাউন চললেও আশপাশের এলাকার বহু মানুষ সেই লকডাউন মানছেন না। বাজার কাছে হওয়ায় এই রাস্তা ব্যবহার করে সকলে বাজারে যাচ্ছেন। চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছেন। সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করেই পথে চলাফেরা করছেন। যা এখন কাম্য নয়। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ রুখতেই গ্রামের মানুষজন রাস্তা অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন। এ দিন সকালে গ্রামের মহিলা-পুরুষ সকলে মিলে এই রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় আটকান। সেখানে করোনা সচেতনতা সংক্রান্ত পোস্টারও লাগান তাঁরা। তবে জরুরি দরকারে যাঁরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করবেন তাঁদের জন্য রাস্তা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে বলে জানান তাঁরা। গ্রামবাসী বাদল মণ্ডল বলেন, “সরকারি নিষেধকে উপেক্ষা করেই মানুষ রাস্তাঘাটে চলাচল করছেন। সকাল-বিকেল বাজার এলাকায় আড্ডা দিতে চলে আসছেন। রাস্তায় সাইকেল, বাইক, টোটো নিয়ে চলছে দেদার যাতায়াত। আমাদের গ্রামের উপর দিয়ে এ ভাবে যাতায়াত হচ্ছে বলেই আমরা রাস্তা বন্ধ করেছি। করোনা সংক্রমণ রুখতেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।” একই বক্তব্য চিত্তরঞ্জন সর্দার, সনকা সর্দারেরও।
অন্য সময়ে রাস্তাঘাট অবরোধ হলে প্রশাসনের আধিকারিকেরা গিয়ে সেই অবরোধ তুলে দেন। কিন্তু এ দিনের এই রাস্তা অবরোধকে যেন সমর্থন করলেন প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। এ বিষয়ে বাসন্তীর বিডিও সৌগত সাহা বলেন, “এত করে মানুষকে বোঝানো হচ্ছে তবু কিছু মানুষ শুনছেন না। সে দিক থেকে বলতে হয় এই গ্রামের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সময় সকলে মিলে করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করতেই হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy