Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দু’টি গাছে মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ তাঁদের বাড়িরই পাশের দু’টি গাছ থেকে উদ্ধার হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৯ ০২:০০
Share: Save:

দু’টি গাছ থেকে মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নোদাখালি থানার চকেতবাটি এলাকায়। মৃতদের নাম অণিমা কাবড়ি (৫৫) ও মিন্টু কাবড়ি (২২)। পারিবারিক অশান্তির জেরে মা ও ছেলে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ তাঁদের বাড়িরই পাশের দু’টি গাছ থেকে উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মাসখানেক আগে মুক্তি হালদার নামে স্থানীয় মহেশ্বরপুর গ্রামের এক মহিলাকে বিয়ে করেন মিন্টু। ওই মহিলার আগের পক্ষের একটি আট বছরের ছেলেও রয়েছে। মিন্টুর ভাই সন্টু বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকেই দাদা ও মায়ের সঙ্গে ওই মহিলা নানা কারণে অশান্তি করতেন। মা খুব কষ্ট পেতেন।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে মিন্টুর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল তাঁর স্ত্রী মুক্তির। সেই সময়ে অণিমাদেবী সামনে চলে আসায় মুক্তি তাঁকেও অপমান করেন বলে অভিযোগ। ঝগড়ার কিছু ক্ষণ পরে মিন্টু বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। খানিকটা সময় কেটে যাওয়ার পরে অণিমাদেবী ছেলেকে বাড়ির পাশে একটি গাছে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। তা দেখে তিনি নিজেও একটি গাছ থেকে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়েন বলে দাবি পুলিশের। প্রতিবেশীরা মা ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। এর পরে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ।

সন্টু জানান, তাঁর বৌদি দাদার থেকে প্রায় আট বছরের বড়। সন্টুর অভিযোগ, ‘‘বৌদির সঙ্গে আশপাশের গ্রামের অনেকেরই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমার দাদাকে ঠকিয়ে বিয়ে করেছেন ওই মহিলা। উনি এ বাড়িতে আসার পর থেকেই পরিবারে অশান্তি শুরু হয়েছিল। বৌদির মানসিক অত্যাচারের জেরেই দাদা ও মা আত্মঘাতী হতে বাধ্য হয়েছেন। আমার বাবা অসুস্থ। তিনি শয্যাশায়ী।’’

মুক্তি অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ দিনের মৃত্যুর ঘটনার পরে তিনি বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে মিন্টুর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আমরা আইনত বিবাহিত নই। মিন্টু আমায় বিয়ে করবে বলেছিল। কিন্তু করেনি। সমাজের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হয় বলে আমি সিঁদুর পরি।’’

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, সন্টুর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুক্তিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই দু’টি মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Suicide Family Dispute
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE