গঙ্গারানি দাস
ফের জ্বরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল বনগাঁ থানা এলাকায়।
শুক্রবার ভোর রাতে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে গঙ্গারানি দাসের (৫৪)। তাঁর বাড়ি গোবরাপুরে। বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল গঙ্গাদেবীকে। সোমবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। পরিবার সূত্রের খবর, স্থানীয় চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে জ্বর নেমেছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মৃত্যুর শংসাপত্রে লেখা হয়েছে, ‘কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেলিওর ইন কেস অফ আইএইচডি এনএস-১ ফিভার।’
গোবরাপুর এলাকাটি গাঁড়াপোতা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। শুক্রবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, গঙ্গারানির বাড়িতে পড়শিদের ভিড়। জ্বর, ডেঙ্গি নিয়ে ভয় চেপে বসেছে অনেকের মধ্যেই। অনুপমবাবু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত বা প্রশাসন— কারও পক্ষ থেকে এখানে চুন, ব্লিচিং, মশা মারার তেল ছড়ানো হয়নি। আগে থেকে মশা মারার কাজ শুরু হলে হয় তো মা বেঁচে যেতেন।’’ এলাকার মানুষজন জানালেন, ডেঙ্গি নিয়ে কোনও প্রচারও হয়নি। ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী করণীয়, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই অনেকেরই। এলাকায় ঘুরে দেখা গেল, প্রচুর ডোবায় জল জমে। কৃষি জমিতেও জল। বন-জঙ্গল রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দীপা সাধু দিন কয়েক আগে জ্বরে পড়েছেন। রক্ত পরীক্ষায় এনএস-১ পজিটিভ মিলেছে। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে। বাড়ির সামনে বনগাঁ-বাগদা সড়কের পাশে ডোবা দেখিয়ে বললেন, ‘‘এমন ডোবা থাকলে তো মশার উপদ্রব হবেই। পঞ্চায়েত থেকে বাড়িতে মশা মারার কাজ হয়নি।’’ দেবাশিস দত্ত, শুভঙ্কর শীলরা জানালেন, কেউ কেউ নিজেদের উদ্যোগে বাড়িতে কেরোসিন তেল, মশা মারার তেল স্প্রে করতে শুরু করেছেন। যদিও পঞ্চায়েতের দাবি, এলাকাভিত্তিক ব্লিচিং ও কেরোসিন তেল ছড়ানো হচ্ছে। জমা জল, বন-জঙ্গল সাফ করার কাজও চলছে। পঞ্চায়েত প্রধান মধুসূদন বিশ্বাস বলেন, ‘‘মশা মারা কামানের দাম প্রায় ১ লক্ষ টাকা। যা পঞ্চায়েতের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়। তবে এখন থেকে মশা মারার তেল এলাকায় ছড়ানো হবে।’’ বনগাঁর মহকুমাশাসক কাকলি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরে একটি টিম এলাকায় গিয়ে জ্বরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে। গাঁড়াপোতা এলাকায় আরও বেশি করে যাতে মশা মারার কাজ হয়, তা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলে কি প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসবে না?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy