ইন্দিরা মিত্র
প্রতিদিনের মতো খাবার দিতে এসেছিলেন পাড়ার পরিচিত। কিন্তু এ দিন আর ডেকে সাড়া পাননি। দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকতেই থমকে যান ওই যুবক। দেখেন, যাঁর খাবার দিতে এসেছেন, রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি ঘরের মেঝেয় পড়ে। চিৎকারে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ইন্দিরা মিত্র (৪৫) নামে ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইন্দিরার বাড়ি নৈহাটির পালপাড়ার জে জে রোডে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে ইন্দিরাকে। মাথায় গভীর ক্ষত ছিল। ভারী এবং ভোঁতা কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ। তবে এ জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ঘরের মধ্যে থেকে কিছু চুরিও যায়নি বলে মনে করছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে একাই থাকতেন ইন্দিরা। তাঁর বাবা-মায়ের মৃত্যু হয়েছে অনেক আগেই। নিজে বিয়ে করেননি। শরিকি বাড়ির নিজের অংশে একাই থাকতেন। কোনও স্থায়ী রোজগার ছিল না। এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা তাঁকে সাহায্য করতেন। দু’বেলার খাবারও আসত পড়শিদের বাড়ি থেকে। পরিবারের কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। পুলিশই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy