অভিযোগ, এখান থেকে মদ বিক্রি হত বেআইনি ভাবে। নিজস্ব চিত্র
সকাল থেকে তাঁকে মদ খেতে দেখেছিলেন অনেকে। একটা সময়ে গ্রামের মুদিখানার সামনে টলে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। গ্রামবাসীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রামের কয়েকটি দোকানে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি হচ্ছে, আর সেখান থেকে মদ কিনে খেয়েই মারা যাচ্ছেন মানুষ— এই অভিযোগ তুলে গ্রামের মহিলারা ভাঙচুর চালান বাজারের কয়েকটি দোকানে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাগদার রনঘাট পঞ্চায়েতের আউলডাঙা বাজারে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মেঘনাথ তরফদার (৭০)। বাড়ি বাগদার আউলডাঙা পাড়ুইপাড়ায়।
বিকেলের দিকে মেঘনাদের মৃত্যুর খবর রটে যেতেই সন্ধে সাড়ে ৮টা নাগাদ পাড়ুইপাড়া থেকে শ’খানেক মহিলা এসে ওই মুদিখানা-সহ আরও কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর শুরু করেন। ইট, বাঁশ, লাঠি দিয়ে দোকানের টিনের শাটার ভেঙে ফেলা হয়। ভিতরে ঢুকে মজুত মদের বোতল খুঁজে বার করে এনে রাস্তায় আছড়ে ভেঙে ফেলেন মহিলারা। খবর পেয়ে বাগদা থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৃত মেঘনাদ। নিজস্ব চিত্র।
ওই মুদিখানা-সহ বাজারের আরও কয়েকটি দোকানে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি হত বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এলাকার বাসিন্দা রসিক সরকার, বাবলু হালদাররা বলেন, ‘‘বাজারে কয়েকটি দোকানে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি হয়। পুলিশ মাঝেমাঝে ধরপাকড় করলেও মদ বিক্রি ও খাওয়া নিয়মিতই চলে।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা জানান, অতিরিক্ত মদ খাওয়ার জন্যই মেঘনাথ মারা গেলেন। এখনই এই বাজারে মদের দোকানগুলি তুলে দিতে না পারলে ভবিষ্যতে আরও অনেকে মারা যাবেন। পুলিশ জানিয়েছে, একটি আনাজের দোকানে মদ বিক্রি হত বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। কোথাও বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি হলে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
বনগাঁর এসডিপিও অনিলকুমার রায় বলেন, ‘‘বাগদার ওসিকে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি বন্ধ করার জন্য অভিযান চালাতে নির্দেশ দিয়েছি। কাউকে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি করতে দেখলেই গ্রেফতার করে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy