নড়বড়ে জেটি দিয়ে চলছে যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র
প্রায় আড়াইশো ফুট লম্বা কাঠের পাটাতন ফেলা জেটি। নীচে কাঠ ও লোহার খুঁটি দিয়ে ঠেকা দেওয়া। কিন্তু ইদানীং বেশ নড়বড়ে অবস্থা তার। সেখান দিয়েই ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের নূরপুর ঘাটে যাতায়াত করেন যাত্রীরা।
নূরপুর ঘাট থেকে পূর্ব মেদিনীপুর গেঁওখালি ঘাটে হুগলি নদী পারাপার চলছে বহু বছর ধরে। নূরপুর ঘাটের জেটির উপরে কাঠের পাটাতন ঠিক মতো সংস্কার না হওয়ায় সেগুলি নড়বড় করছে। জেটির নীচে বেশ কয়েকটি খুঁটি জোয়ারের জলের তোড়ে বেঁকে রয়েছে। তা ছাড়া, ওই জেটির অদূরে কলকাতা বন্দরে যাতায়াত করা জাহাজের চ্যানেল। জাহাজ ওই এলাকা থেকে পার হওয়ার সময়ে জলের তোড় সরাসরি জেটির গায়ে ধাক্কা মারে। হুগলির তেলেনিপাড়ায় জেটি দুর্ঘটনার মতো নূরপুরও বিপত্তিতে ফেলতে পারে যাত্রীদের আশঙ্কা।
জেলা পরিষদের অধীন ওই জেটিঘাট দিয়ে সারা দিনে দুই জেলার বহু মানুষ লঞ্চে করে পারাপার করেন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলার মানুষ নদী পার হয়ে নূরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি কলকাতায় পৌঁছনোর বাস ধরেন। পিকনিকের মরসুমে ও পারের বহু পর্যটক ডায়মন্ড হারবারে পিকনিক করতে আসেন।
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, পূর্ণিমার মরাকোটালে জল নীচে নেমে গেলে জেটির প্রায় শেষ প্রান্তে গিয়ে লঞ্চে উঠতে হয়। এমনকী, জোয়ারের সময়ে নদীর ঢেউরের তোড় জেটিঘাটে ধাক্কা লাগলেই জেটি টলমল করে ওঠে। এই বুঝি জেটি হুড়মুড়িয়ে ভাঙল, এমন আশঙ্কা থাকে। বেহাল জেটি সংস্কারের জন্য প্রশাসনের কাছে একাধিক বার দরবার করেও লাভ হয়নি বলে জানালেন স্থানীয় মানুষজন ও নিত্যযাত্রীরা।
ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক শান্তনু বসু বলেন, ‘‘ওই ঘাটের বিষয়ে পরিকল্পনা করে পাঠানো হয়েছে।’’ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি শামিমা শেখ বলেন, ‘‘জলপথ পরিবহণ দফতর থেকে নূরপুর ঘাটে জেটি নির্মাণের জন্য অনুমোদন মিলেছে। কয়েক দিনের মধ্যে কাজ শুরুর কথা। তবে ওই ঘাটের পাশে গভীরতা বেশি থাকার জন্য পল্টন জেটি করতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy