ধৃত: মহম্মদ নবি।
বছর পাঁচের এক শিশুকন্যাকে নিয়ে ভিক্ষা করছিল যুবক। শিশু ও যুবকের কথা শুনে সন্দেহ হয় এক দোকানির। এরপরেই এলাকার দোকানিরা এসে আটক করে তাকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শিশু পাচারের অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার স্টেশন রোড মোড় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ নবি। বাড়ি কলকাতার হেয়ারস্ট্রিট থানা এলাকায়। বিহারেও তার বাড়ি আছে। সে পুলিশকে তার চারটি নাম বলেছে। তদন্তকারী অফিসাররা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বিড়া নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা ওই শিশুটি শুক্রবার সন্ধ্যায় ঠাকুমার সঙ্গে হাটে গিয়েছিল। ভিড়ের মধ্যে দোকানে কেনাকাটা করার সময় তিনি নাতনির হাত মুহূর্তের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, সে সময় সেখানে নবি হাজির ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিশুকে নবি মামা বলে পরিচয় দেয়। এরপরেই তাকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে সেখান থেকে নিয়ে যায়। তারা অটো করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের কাছে আসে। সেখানে শিশুকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন দোকানে গিয়ে ভিক্ষে করছিল নবি।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটিকে দিয়ে টাকা তোলাচ্ছিল নবি। স্টেশন রোডের মোড়ে একটি শাঁখের দোকানে শিশুটিকে নিয়ে নবি টাকা তুলতে গেলে দোকানির সন্দেহ হয়। কারণ শিশুটি বাংলায় কথা বলছিল। কিন্তু নবি বাংলা ও হিন্দি মিশিয়ে কথা বলছিল। যুবককে ধরে লোকজন শিশুটির পরিচয় জানতে চান। কিন্তু নবির অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে এলাকার লোকজনের সন্দেহ আরও বাড়ে। এরপরেই চড়-থাপ্পড় মারা হয় ওই যুবককে।
ইতিমধ্যেই খবর পৌঁছয় পুলিশের কাছে। পুলিশ নবি ও শিশুটিকে নিয়ে থানায় চলে যায়। শিশুটি পুলিশকে জানায়, তার বাড়ি বিড়া এলাকায়। পুলিশ শিশুটির বাড়ির লোকজনকে থানায় আসতে বলে। তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটি তার ঠাকুরদা ও ঠাকুমার সঙ্গে থাকে। শিশুটির বাবা কর্মসূত্রে হাওড়ায় থাকেন। মায়ের সঙ্গে বাবার কোনও সম্পর্ক নেই। নাতনিকে খুঁজে না পেয়ে তিনি আত্মীয়-স্বজন ও আশপাশের লোকজনকে জানান। খবর দেওয়া হয় বিড়া পুলিশ ফাঁড়িতেও। বিড়া স্টেশনে মাইকে নিখোঁজের ঘোষণাও করা হয়।
শিশুটির ঠাকুমা বলেন, ‘‘সব সময় নাতনিকে চোখে চোখে রাখি। তারপরও কী ভাবে নাতনিকে চুরি করে নিয়ে গেল, বুঝতেই পারিনি। ওই যুবকের কঠোর শাস্তি চাই।’’ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ওই যুবক কোনও শিশু পাচার চক্রে জড়িত। পুলিশ তাকে জেরা করে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy