জখম যুবক। —নিজস্ব চিত্র।
সাত সকালে সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষে তেতে উঠল দেগঙ্গার দোহাড়িয়া গ্রাম। বাড়ি, দোকানে ভাঙচুর-লুঠপাটের ঘটনা ঘটে। ৫ জন মহিলা-সহ জখম হয়েছেন ৮ জন। সকলকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ ডিসেম্বর দোহাড়িয়া গ্রামের সিপিএম সমর্থক জমাত আলির পটল খেত উপড়ে নষ্ট করা হয়। ওই ঘটনায় তৃণমূলের ৫ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ ওই অভিযুক্তেরা জড়ো হয়। তাদের বক্তব্য, মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। উভয় পক্ষের বিবাদ বাধে। শুরু হয় তাণ্ডব। তৃণমূলের মোশারফ আলি আখ মাড়াইয়ের জন্য মেশিন আনতে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, তাঁকে মারধর করে জমাতের ছেলে হোসেন। রাম দা দিয়ে সোহারফের হাতে কোপ মারার পরে তাঁর স্ত্রী রুম্পা বিবি স্বামীকে বাঁচাতে এলে তাঁকেও বেদম মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা সোহারাফের শ্বশুরবাড়িতেও হামলা চালায়। সোহারফের শ্যালক ইযারাজ আলি এবং তার বোন সাহানার মাথায় দায়ের কোপ মারা হয়। দু’পক্ষের মারামারিতে সিপিএমের সাবিনা বিবি, হাফিজা বিবি, আনোয়ারা বিবি এবং হাসান আলিও গুরুতর আহত হয়। দুষ্কৃতীরা রাবিয়া বিবির দোকানে ভাঙচুর, লুঠপাট করে। স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে সিপিএম নেতা সাবির হোসেন তরফদার বলেন, “পরিকল্পনা করে তৃণমূল আমাদের সমর্থকদের উপরে হামলা চালিয়েছে। অন্য দিকে, তৃণমূলের সোয়েব আলি বলেন, “ভাই সোহারাফকে সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই মারধর করেছে। ওর স্ত্রী রুম্পাকেও মারধর করা হয়েছে, শ্লীলতাহানিও হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy