মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে আজ, সোমবারই প্রথম মথুরাপুরে প্রশাসনিক সভায় আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলগেটের পাশে সার্কাস মাঠে সভা করার কথা তাঁর। তোড়জোড় চলছে সপ্তাহখানেক আগে থেকে। দেবীপুর পঞ্চায়েতের পিছনে প্রায় ২০ একর মেঠো জমির উপর মঞ্চ বাঁধা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার জন্য ওই পঞ্চায়েতের সামনে মাঠে ও পাশেই সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামের কাছে দু’টি হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। হেলিপ্যাড থেকে সভাস্থলের দূরত্ব প্রায় ২৫০ মিটার। সেখানে মাঠে মাটি ও বালি ফেলে ইট বিছিয়ে অস্থায়ী রাস্তা তৈরির কাজ হয়েছে।
সভার এলাহী আয়োজন নিয়ে কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা। এক সিপিএম এক নেতার দাবি, ‘‘মঞ্চ ও হেলিপ্যাড তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা। এর সঙ্গে রয়েছে প্রায় দেড় হাজার ভিআইপি-র বিশেষ খাবারের প্যাকেট। সব মিলিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হবে। এ দিকে সরকার বলে টাকা নেই, আবার এত এত খরচাও করছে!’’
আর পাঁচটা প্রশাসনিক সভার মতো এখানেও বেশ কিছু প্রকল্পে চেক, টাকা দেওয়া হবে উপভোক্তাদের। সভায় সুন্দরবন জেলা ভাগের প্রসঙ্গের পাশাপাশি উঠে আসতে পারে জয়নগর থেকে রায়দিঘি রেল লাইন সম্প্রসারণের বিষয়। মথুরাপুরের কিসান মান্ডির উদ্বোধন, নামখানা হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর উপরে সেতুর শিলান্যাস ছাড়াও সুন্দরবনের কয়েকশো প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতাল ও কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়েও ঘোষণা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারে জলপ্রকল্পেরও উদ্বোধন করার কথা তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy