পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ। উত্তেজনা ঢোলাহাট থানা এলাকার দিগম্বরপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
কোয়রান্টিন সেন্টারে পরিযায়ী মহিলা শ্রমিকের সঙ্গে অপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ল ভিলেজ পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানা এলাকা। পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দফায় দফায় চলে খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশকর্মীদের লক্ষ করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। পুলিশের বিরুদ্ধেও গ্রামবাসীদের মারধর এবং লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে।
ঢোলাহাট থানা এলাকার দিগম্বরপুরের কোয়রান্টিন সেন্টারে ছিলেন ওই মহিলা পরিযায়ী শ্রমিক। সেখানে তাঁর সঙ্গে এক ভিলেজ পুলিশকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান কয়েকজন। খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা সেখানে গিয়ে দু’জনকেই আটকে রাখেন। ঢোলাহাট থানায় পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ওই ভিলেজ পুলিশকর্মীকে ঢোলাহাট থানার হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করেন গ্রামবাসীদের একাংশ।
আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় গাড়ি, পালানোর চেষ্টা, এনকাউন্টার, সাত দিনে শেষ বিকাশ অধ্যায়
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় দিনেও কন্টেনমেন্ট জোনে কড়া পুলিশি প্রহরা, পরিদর্শনে সিপি
ওই মহিলা এবং ভিলেজ পুলিশকে উদ্ধার করতে গিয়েই বিপত্তির সূত্রপাত। আচমকাই উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে। উত্তেজিত হয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন গ্রামবাসীরা। ভিড় ছত্রভঙ্গ করে ওই মহিলা এবং ভিলেজ পুলিশকে উদ্ধার করে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও গ্রামবাসীদের একাংশ দাবি করছেন, পুলিশ কর্মীদের জন্যই এখানে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নির্বিচারে লাঠিচার্জ হয়েছে। অনেকে আহত। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। যদি সে দোষী প্রমাণিত হয়, তা হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy