সেনাবাহিনীর কোনও জায়গায় জীবনবিমা নিগমের আসানসোল ডিভিশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা নিতে হবে বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ করতে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
জীবনবিমা নিগমের আইনজীবী স্মরজিত্ রায়চৌধুরী জানান, সংস্থার বিভিন্ন অফিসে অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের পদ্ধতি নিয়ে ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টে একটি প্রকল্প জমা দেন কর্তৃপক্ষ। এর পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দেশ জুড়ে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আইনজীবীর দাবি, ইতিমধ্যে দু’বার পরীক্ষার দিন ধার্য করেও আসানসোল ডিভিশনে সেই পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। যদিও বর্ধমান ডিভিশনে পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবে শেষ হয়েছে। শেষে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ১৬ নভেম্বর আসানসোল ডিভিশনের পরীক্ষা নিতে হবে।
জীবনবিমা নিগম সূত্রের খবর, সে দিন আসানসোলের বিবি কলেজে ছিল পরীক্ষা কেন্দ্র। সেই জন্য কলেজের কাছে পাঁচ হাজার টাকাও জমা দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে। জীবনবিমা নিগমের অভিযোগ, পরীক্ষার দিন সকালে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, পরিচালন সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পরীক্ষা নিতে দেওয়া হবে না। তাই সে দিন পরীক্ষা ভেস্তে যায়।
আইনজীবী স্মরজিত্বাবু জানান, এর পরে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা একটি আবেদন করে জানান, নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপের কারণে আসানসোল ডিভিশনে পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে, বর্ধমান ডিভিশনের পরীক্ষার ফলও প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আবেদনে আরও জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্ট দেশ জুড়ে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আসানসোল ডিভিশনে পরীক্ষা না হওয়ায় তাই আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হতে পারে। তা ছাড়া, শুধু পরীক্ষা না নিতে পারা নয়, আসানসোল ডিভিশনের পাঁচটি অফিসে স্বাভাবিক কাজকর্মও করা যাচ্ছে না বলে জানানো হয়।
জীবনবিমা নিগমের আসানসোলের সিনিয়র ডিভিশনাল ম্যানেজার জ্যোতির্ময় বরাট বলেন, “অস্থায়ী কর্মীদের বাধায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছিল না। আমরা কলকাতাতেও পরীক্ষার আয়োজন করে বাধা পেয়েছি। এই অবস্থায় চাকরিপ্রার্থীরা আদালতে আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা হলফনামা জমা দিয়ে জানাই, পুলিশি সহায়তা চেয়েও আমরা পাইনি।”
এ দিন মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি নির্দেশ দেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে জীবনবিমা নিগম কর্তৃপক্ষকে ঠিক করতে হবে, কোথায় পরীক্ষা কেন্দ্র হবে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আদালতের নির্দেশ, ওই পরীক্ষা যাতে নির্বিঘ্নে হয়, তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা করতে হবে। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিত্ ঘোষ এ দিন সন্ধ্যায় বলেন, “এখনও এরকম নির্দেশের কথা জানি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy