পুড়ছে লরি।—নিজস্ব চিত্র।
পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে অশান্তি হল কাঁকসা থানার মিনিবাজার এলাকায়। উত্তেজিত জনতা লরিটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন নেভাতে গেলে হামলা হয় দমকলের উপরে। এই ঘটনায় ১১ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে মিনিবাজারে রাস্তার পাশে স্কুটার নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দা দীপক মৃধা। সেই সময় ইলামবাজারগামী একটি লরি তাঁর স্কুটারে ধাক্কা মারলে তিনি গুরুতর আহত হন। এর পর আশপাশের লোকজন ওই লরিটিকে আটক করে আগুন ধরিয়ে দেয়। শুরু হয় পথ অবরোধ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকল এলে উত্তেজিত জনতা দমকল কর্মীদের লক্ষ করে ঢিল ছুঁড়তে শুরু করে। দমকলের একটি ইঞ্জিনও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ পৌঁছলে তাদেরও বাধা দেওয়া হয়। কাজ করতে না পেরে ঘটনাস্থল থেকে ফিরে যান দমকলকর্মীরা।
খানিক পরে পুলিশের বড় বাহিনী নিয়ে পৌঁছয়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিনও যায়। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আসে। অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। পরে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণের ঠিক মতো ব্যবস্থা না থাকার জন্য মাঝে-মধ্যেই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই তাঁরা এ দিন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আহত দীপকবাবুকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দমকল কর্মীদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন শুরু থেকেই লরির আগুন নেভাতে বাধা দিচ্ছিল। এক দমকল কর্মী বলেন, “আমরা বোঝাতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের উপরেই চড়াও হয়। তাতে আমাদের তিন জন আহত হন।” আহত দমকল কর্মীদের হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিত্সা করানো হয়েছে। দমকলের পানাগড় বিভাগের ওসি তপনকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, কাঁকসা থানায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট ও দমকলের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতেই ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে। ধৃতদের মঙ্গলবার দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy