কখনও নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার নামে, কখনও সদস্য হওয়ার জন্য টাকা চাইছেন সমবায় সমিতি কর্তৃপক্ষ, এমনই অভিযোগ কেতুগ্রামের বিল্লেশ্বর, রসুই, তেওড়া গ্রামের বাসিন্দাদের। সম্প্রতি কোনও রকম রসিদ ছাড়াই টাকা দিতে হয়েছে অভিযোগে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ১৩ জন চাষি।
বিল্লেশ্বর পঞ্চায়েত ভবনের নীচেই রয়েছে বিল্লেশ্বর-রসুই-তেওড়া সমবায় সমিতির কার্যালয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আর্থিক কারণে ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর আচমকা এই সমবায় সমিতি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে প্রশাসনের কাছে বার বার আবেদনের পরে গত বছর ১৬ অগস্ট সমিতি পুনরায় খোলার নির্দেশ দেয় সমবায় দফতর। ন’জন সদস্য নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করে দেওয়া হয়। সমিতির সদস্য দাতাকর্ণ মণ্ডল, নিত্যানন্দ আচার্যদের অভিযোগ, ‘‘জিরো ব্যালান্সের নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য পুরনো সদস্যদের কাছ থেকে একশো টাকা ও নতুন সদস্যদের কাছ থেকে আড়াইশো থেকে সাড়ে তিনশো টাকা চাওয়া হচ্ছে। অথচ কোনও রসিদ দেওয়া হচ্ছে না।’’ এ ছাড়াও সমিতি থেকে ঋণ পেতে গেলে যে ‘কারবার নামা’ বা বন্ধকী ফর্ম নিতে হয় তা তোলার জন্যও একশো টাকা করে চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। অজয় মণ্ডল, সঞ্জয় মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘সমিতির সদস্য হতে আড়াইশো টাকা চাইছেন কর্তৃপক্ষ। যখন তখন নিয়ম বহির্ভূত ভাবে টাকা চাইলে গরিব চাষিরা কোথায় যাবে?’’ তাঁদের অভিযোগ, ম্যানেজার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে।
সমিতির সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘কারবার নামা ফর্মের জন্য বা ঋণ নিতে চাষি পিছু সমবায়কে ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে হচ্ছে। তাই চাষিদের কাছে সামান্য টাকা নিলেও তার রসিদ দেওয়া হচ্ছে।’’ ওই ফর্ম দিতে সমিতির চাষি পিছু দুশো টাকার বেশি খরচা হয় বলে দাবি তাঁর। যদিও এই দাবি অস্বীকার করে কাটোয়ায় সমবায়ের সহ নিবন্ধক বিমলকৃষ্ণ মজুমদার বলেন, ‘‘সমবায়ে সব পরিষেবা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। টাকা নেওয়ার অভিযোগের তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy