পুলিশ জুবিলা গ্রাম থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে।
শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গোলমাল বাধল খণ্ডঘোষে। প্রথমে এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা, তার পরে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল। খণ্ডঘোষের জুবিলা গ্রামে শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসিত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। পুলিশ জুবিলা গ্রাম থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে এক জন বাঁকুড়ার ইন্দাসের আকুই গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীপুজোর বিসর্জন দেখে বাড়ি ফেরার পথে এক তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে জুবিলা গ্রামের শিবতলায়। অভিযোগ, পাশের সাঁকো গ্রামের বাসিন্দা অসিত বছর কুড়ির ওই তরুণীর পথ আটকে ফোন নম্বর চান। কিন্তু নম্বর দিতে অস্বীকার করায় প্রথমে অশ্লীল কথা বলেন ও টানাহ্যাঁচড়া করেন বলে অভিযোগ।
ওই তরুণীর দাদু পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান, তাঁরা এখন উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড়ে থাকেন। আদি বাড়ি জুবিলা গ্রামে। কালীপুজো উপলক্ষে তাঁরা গ্রামে এসেছেন। পুজোর বিসর্জন দেখে তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, নাতনিরা বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে নাতনির হাত ধরে টানাটানি, শ্লীলতাহানি করেন অসিত। চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসেন। তখন অসিত তাঁর নাতনিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরে রাতে জুবিলা গ্রাম থেকে কিছু লোকজন সাঁকো গ্রামে অসিতের দাদা নির্মল মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালায়। অসিত বাড়িতে নেই জানার পরে দাদাকেই মারধর করতে করতে জুবিলা গ্রামে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কালীতলায় গণপ্রহার শুরু হয়ে যায়। দাদাকে মারধর করা হচ্ছে শুনে অসিতবাবু জুবিলা গ্রামে এলে তাকে ধরে মারধর শুরু হয়। অভিযোগ, ইট দিয়ে তার মুখে ও মাথায় আঘাত করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে খণ্ডঘোষ ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মারধরের ঘটনায় পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের আইনজীবী সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে একটি ঘটনা ঘটেছে। ধৃতদের তরফেও থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। মারধরের অভিযোগ ঠিক নয়।’’ অসিত কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। চিকিৎসকেরা জানান, মাথায়, কোমরে ও পিঠে গুরুতর আঘাত রয়েছে। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে অসিতের স্ত্রী মিঠুদেবী দাবি করেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ তুলে মারধর করা হয়েছে। আমার ধারণা, ব্যক্তিগত হিংসার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy