সার দিয়ে দাঁড়িয়ে গাড়ি, বাস। বৃহস্পতিবার ব্যারাজে। ছবি: বিকাশ মশান
পুলিশের নিষেধ উপেক্ষা করে ব্যারাজ পেরোতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাল একটি ট্রাক। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনায় জখম হন সাত জন। সংস্কারের কাজ চলায় এমনিতেই ব্যারাজে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তার উপরে এই দুর্ঘটনার জেরে দুপুর পর্যন্ত যানজট তৈরি হয় দুর্গাপুর ব্যারাজে।
ব্যারাজে রাস্তা সারাইয়ের কারণে এক পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পণ্যবাহী ভারী গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে রাত ১০টা থেকে ভোর ৩টে পর্যন্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ কয়লা বোঝাই ওই ট্রাকটি বড়জোড়ার দিক থেকে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল। ব্যারাজের আগে চুনপোড়া এলাকা থেকেই সেটিকে আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু নির্দেশ না মেনে চালক তীব্র গতিতে ট্রাক ছোটায় বলে অভিযোগ। এমনকি, সেটিকে আটকাতে গিয়ে ট্র্যাফিককর্মীরাও আহত হতে পারতেন বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ জানায়, তীব্র গতিতে ট্রাকটি ব্যারাজের রাস্তায় ঢুকে পড়ে। তখন দুর্গাপুরের দিক থেকে একটি পিক-আপ ভ্যান ও তার পিছনে সাইকেল, মোটরবাইক আসছিল। ট্রাকটি গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়া পিক-আপ ভ্যানে ধাক্কা মারে। ভ্যানটি পিছনে গড়িয়ে গিয়ে সাইকেল ও মোটরবাইক আরোহীদের ধাক্কা দেয়। জখম হন সাত জন। পুলিশ ট্রাকের চালককে আটক করে। আহতদের বড়জোড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত বর্ণালী বাউরি, অরবিন্দ কোলে, নরেন বাগদি ও বরুণ মণ্ডল দুর্গাপুর, পল্লব কর্মকার খণ্ডঘোষ, নিত্যানন্দ মণ্ডল বড়জোড়া ও মহম্মদ নাসির হোসেন বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা। অরবিন্দবাবু বলেন, “দুর্ঘটনার আওয়াজ শুনে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়লাম।’’ মহম্মদ নাসির বলেন, “যানজটে আটকে ছিলাম। তীব্র গতিতে সামনের ভ্যানটি পিছন দিকে গড়িয়ে এসে ধাক্কা মারল।”
ঘটনার পরে বেশ খানিকক্ষণ দুর্গাপুরের দিকে শ্যামপুর ও বাঁকুড়ার দিকে প্রায় হাটআশুড়িয়া পর্যন্ত যান চলাচল ব্যাহত হয়। যানজট কাটাতে বড়জোড়া ও কোকআভেন থানার পুলিশ পৌঁছয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, ট্রাকের চালক নেশাগ্রস্ত ছিলেন। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy