প্রতীকী ছবি।
অস্ত্র-সহ ন’জনকে ধরল নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সওয়া ১১টায় কুলটির নিয়ামতপুরের বোকাবাবা মন্দির লাগোয়া জঙ্গল থেকে বিহারের বাসিন্দা ওই ন’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরপর ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতী এলাকা থেকে ধরা পড়ায় নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর মেলে, ওই জঙ্গলে একটি নম্বরহীন সাদা রঙের গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেখানে কয়েক জনকে সন্দেহ জনক ভাবে ঘোরাফেরাও করতে দেখা যাচ্ছে। এর পরেই পুলিশের একটি দল ওই জায়গাটি ঘিরে ফেলে। ধৃতদের তল্লাশি করে একটি দেশি রিভলভার, ন’রাউন্ট কার্তুজ, ছুরি, লোহার রড, ভোজালি মিলেছে।
পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় স্বীকার করেছে, গভীর রাতে এলাকায় দুষ্কর্ম চালানোর পরিকল্পনা ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দলটির পান্ডা চন্দন সিংহ নামে এক জন। তার বাড়ি, বিহারের চম্পারনের মোতিহারি থানা এলাকায়। তাকে জেরা করে আরও কিছু তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তবে সম্প্রতি এমন আরও কিছু ঘটনা কুলটিতে ঘটেছে বলে পুলিশ জানায়। মাস চারেক আগে রাধানগর রোড এলাকায় গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে এ ভাবেই নম্বরহীন গাড়ি-সহ কয়েক জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লছিপুর থেকেও অতীতে বেশ কয়েক বার অস্ত্র-সহ দুষ্কৃতী ধরা পড়ে। প্রতিটি ঘটনাতেই ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীরাই ধরা পড়ছে দেখে চিন্তার ভাঁজ জেলার পুলিশকর্তাদের একাংশের কপালে। দিন দশেক আগে আসানসোলের সেনর্যালে রোড এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দশ জনের একটি দুষ্কৃতী দল জড়িত বলে জানান তদন্তকারীরা। ওই দলের প্রত্যেক সদস্যও বিহার, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ জানায়, শহরের সব কটি থানা এলাকায় বাড়তি নজরদাড়ি রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী থানাগুলিকে এ বিষয়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy