Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

‘মেয়াদ উত্তীর্ণ’ মাংস বিপণিতে

এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী দেবব্রত চৌধুরী বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেন, ওই বিপণি থেকে তাঁকে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যাকেটজাত মাংস দেওয়া হয়েছে। ওই দোকানে এই রকম বেশ কিছু প্যাকেট রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। পুলিশ রাতেই দোকানটি বন্ধ করে তিন কর্মীকে আটক করে।

খবর জানাজানির পরে বর্ধমানের ওই বিপণির সামনে ভিড়। নিজস্ব চিত্র

খবর জানাজানির পরে বর্ধমানের ওই বিপণির সামনে ভিড়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৮ ০৩:১০
Share: Save:

একটি বিপণির বিরুদ্ধে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠল বর্ধমানে। মঙ্গলবার দুপুরে পুরসভা ভবনের নীচে ওই দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে বেশ কয়েক প্যাকেট মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যাকেটজাত মাংস মিলেছে। এ ছাড়া ফ্রিজ-বন্দি মাংসও পেয়েছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই বিপণির তিন কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত মাংসের গুণ বিচারের জন্য কলকাতায় নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হবে। আপাতত দোকানটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১০টা নাগাদ শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা, এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী দেবব্রত চৌধুরী বর্ধমান থানায় অভিযোগ করেন, ওই বিপণি থেকে তাঁকে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যাকেটজাত মাংস দেওয়া হয়েছে। ওই দোকানে এই রকম বেশ কিছু প্যাকেট রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। পুলিশ রাতেই দোকানটি বন্ধ করে তিন কর্মীকে আটক করে।

দেবব্রতবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমি ছোটনীলপুরের দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে তিন প্যাকেট মাংস কিনি। বাড়িতে গিয়ে একটা প্যাকেট খোলার পরে মাংসে হাত দিতেই সন্দেহ হয়। দেখি, প্যাকেটের গায়ে থাকা মেয়াদের তারিখ মুছে ফেলা হয়েছে। সঙ্গে-সঙ্গে ওই বিপণিতে ছুটে যাই। সেখানকার কর্মীরা আমাকে বার করে দিলে সোজা থানায় যাই।’’ এ দিন দুপুরে অভিযোগকারী ও আটক কর্মীদের নিয়ে ওই দোকানে যায় পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দোকানে গিয়ে এমন মাংস মিলেছে যা প্যাকেটজাত করা হয়েছে ২০১৬ সালের বিভিন্ন মাসে। কিন্তু সেগুলির কোনওটিতে মেয়াদের তারিখ নেই। এ ছাড়া ওই সংস্থার প্যাকেটজাত নয়, জমিয়ে রাখা এমন মাংসও পুলিশ উদ্ধার করেছে। দেবব্রতবাবু বলেন, ‘‘ভাগাড়-কাণ্ডে এত হইচইয়ের পরেও নামী বিপণি থেকে পচা মাংস কিনতে হবে ভাবিনি!’’

ভাগাড়-কাণ্ডের পরে পুরসভা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছিল। একটি রেস্তোরাঁ বন্ধও করা হয়। তার পরেও বিপণিতে এমন অভিযোগ ওঠার পরে পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল খোকন দাসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘পুরসভার নীচেই এই রকম ঘটবে, ভাবা যায় না! পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিক। আমরাও নেব।’’

ওই বিপণির বর্ধমানের দায়িত্বে থাকা ডলি সরকার বলেন, ‘‘যা বলার তদন্ত শেষে বলব।’’ তবে বিপণি কর্তৃপক্ষ মেয়াদ উত্তীর্ণ মাংস বিক্রির দায় নিতে চাননি। সংস্থার আধিকারিক প্রতাপ দাস বলেন, ‘‘আমাদের সংস্থা এ ভাবে মাংস বিক্রি করে না। বর্ধমানের কর্মীরা কেন এমন করেছেন, দেখতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Meat Shopping Mall Rotten
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE