Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Durgapur Barrage

মেরামত শেষ ৩১ নম্বর গেটে

শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় গেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘ চেষ্টার পরে, মঙ্গলবার রাতে মেরামতের কাজ শুরু হলেও বাধা তৈরি করে জল। শেষ পর্যন্ত বুধবার দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ পুরোদমে মেরামতের কাজ শুরু হয়।

বাঁ দিকে, এ ভাবেই জোরকদমে মেরামতের কাজ করে সারানো হল লকগেট। ডান দিকে, জলের পাউচ নিতে লাইন দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র।

বাঁ দিকে, এ ভাবেই জোরকদমে মেরামতের কাজ করে সারানো হল লকগেট। ডান দিকে, জলের পাউচ নিতে লাইন দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২০ ০২:২৫
Share: Save:

শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারাজের ক্ষতিগ্রস্ত ৩১ নম্বর লকগেট মেরামতের কাজ শেষ হল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। সেচ দফতরের বাস্তুকার সঞ্জয় সিংহ বলেন, ‘‘রাতের দিকে ব্যারাজে জল চলে আসবে। সকালে ফিডার ক্যানালে জল পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।’’

শনিবার ভোর সাড়ে ৫টায় গেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘ চেষ্টার পরে, মঙ্গলবার রাতে মেরামতের কাজ শুরু হলেও বাধা তৈরি করে জল। শেষ পর্যন্ত বুধবার দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ পুরোদমে মেরামতের কাজ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যারাজে গিয়ে দেখা গিয়েছে, কাজ চলছে জোরকদমে।

কী ভাবে কাজ হচ্ছে? সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা জানান, গেটটি বেঁকে গিয়ে মূল জায়গা থেকে সরে গিয়েছে। ইস্পাতের তৈরি ভারী গেটটিকে আর আগের জায়গায় আনা সম্ভব নয়। তাই যাতে সেটি পড়ে না যায় বা যেখানে আছে, সেখানেই আটকে থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হয়েছে। ইস্পাতের ‘অ্যাঙ্গেল’ দিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর গেটটিকে ঠেকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিটি ‘অ্যাঙ্গেল’কে শক্তপোক্ত ভাবে গেটের সঙ্গে চার-পাঁচ জায়গায় ঝালাই করে জুড়ে দেওয়া হয়। ‘অ্যাঙ্গেল’-এর নীচের অংশ গেটের সামনে থাকা কংক্রিটের চাতালের সঙ্গে নাট-বোল্ট দিয়ে জুড়ে দেওয়া হয়। তা ছাড়া, বেঁকে যাওয়া অংশ ঢেকে দেওয়া হয় ইস্পাতের চাদর ঝালাই করে।

পাশাপাশি, তলা দিয়ে যাতে জল যেতে না পারে, সে জন্য ইস্পাতের চাদর গেটের সামনের অংশের কংক্রিটের চাতালের সঙ্গে জুড়ে তা ঝালাই করা হয়েছে গেটের নীচের অংশের সঙ্গে। কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত তিনটি সংস্থার মধ্যে একটি সংস্থার ঠিকাদার শ্যামলেন্দু পাল বলেন, ‘‘গেটটিকে ‘ফিক্সড’ করে দিয়ে ‘সিল’ করা হয়েছে। অন্য দিকে কোনও ভাবেই আর জল যাবে না।’’

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৬ টা নাগাদ ডিভিসি কর্তৃপক্ষকে মাইথন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কাজ শুরু করতে বলা হয়। সেই মতো সকাল সাড়ে ৭টা থেকে মাত্র ছ’হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি। শুকনো দামোদর, নদের গর্ভে থাকা শুকনো খাল সব ভরাট হতে হতে রাতের দিকে ব্যারাজে জল আসার কথা। আরও পাঁচ-সাত ঘণ্টা লাগবে ব্যারাজ ভর্তি হয়ে ফিডার ক্যানালে জল পৌঁছতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durgapur Barrage Repair
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE