চুপিতে পরিযায়ী পাখির দল। নিজস্ব চিত্র।
শীত পড়লেই পূর্বস্থলীর চুপির পাখিরালয়ে ডানা মেলে উড়ে আসে দেশ-বিদেশের বহু পরিযায়ী পাখি। দেশের কয়েকটি রাজ্যে সম্প্রতি বার্ড-ফ্লু ছড়িয়ে পড়ায় এ বার এই পখিরালয়ে বিশেষ নজরদারি শুরু করল বন দফতর।
বহু বছর ধরে চুপি গ্রামের ছাড়িগঙ্গায় আনাগোনা পরিযায়ী পাখিদের। গ্রে হেডেড সোয়ামপেন, গ্রে হিরন, পার্পেল হিরন-সহ নানা ধরনের পাখিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় জলাশয়ে। কিছু কিছু পাখি জলাশয়ের কচুরিপানায় ডিমও পাড়ে। রঙিন পাখিদের জলাশয়ে উড়ে বেড়ানো দেখতে ভিড় করেন পর্যটকেরা। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘চুপির জলাশয়ে অজস্র হাঁসের প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। সেগুলি বার্ড-ফ্লু রোগের বাহক। তাই এই জলাশয়ের প্রতি বাড়তি নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এর আগে জলাশয়ের পাখিদের উপরে নজরদারি চালানোর জন্য একটি সংস্থার তরফে কয়েকটি পাখির গায়ে ক্যামেরা বাঁধা হয়েছিল। পূর্বস্থলী ২ বিডিও সৌমিক বাগচি বলেন, ‘‘বার্ড-ফ্লু এখনও এ রাজ্যে কোথাও না পাওয়া গেলেও, বন দফতর ইতিমধ্যে চুপির জলাশয়ে নজরদারি শুরু করে দিয়েছে।’’ তিনি জানান, শীঘ্রই এই পাখিরালয়ে পাখি গণনার কাজও করবে বন দফতর।
কী ভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে জলাশয়ে? বন দফতরের কাটোয়া শাখার আধিকারিক সুকান্ত ওঝা বলেন, ‘‘ওই জলাশয়ে নৌকা নিয়ে পরিযায়ী পাখিদের উপরে নজর রাখা শুরু হয়েছে। কোথাও কোনও পরিযায়ীর পাখির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে কি না, তা বিশেষ করে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মানুষজনকেও দফতরের তরফে সচেতন করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, চুপির পাশাপাশি কাটোয়ার নয়াচর, কালিকাপুর চর-সহ যে সমস্ত এলাকায় পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা রয়েছে, সেখানেও শুরু হয়েছে নজরদারি।
এ দিন চুপির পাখিরালয়ে আসা সঞ্জয় সামন্ত নামে এক পর্যটক বলেন, ‘‘ভিন্রাজ্যে কিছু হাঁসের শরীরে বার্ড ফ্লু-এর ভাইরাস মিলেছে বলে শুনেছি। যেহেতু এই পাখিরালয়ে হাঁস প্রজাতির অসংখ্য পাখি দেখা যায়, তাই এখানে বাড়তি নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy