পথ আটকে। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার পাটশেওড়া গ্রামের মাঝপাড়ার ঘটনা। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ দিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ঘণ্টাখানেক ইছাপুর-সরপি রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। এর জেরে রাস্তায় যানবাহন আটকে পড়ে।
বিজেপির অভিযোগ, রাতে একসঙ্গে কয়েকজন দুষ্কৃতী সোমনাথ ভাণ্ডারী নামে দলের এক কর্মীর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। বাড়ির ভিতর থেকে আসবাবপত্র বের করে পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। সোমনাথবাবুর অভিযোগ, ‘‘বিজেপি কর্মী হওয়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। আমায় আগেও মারধর করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে। গ্রামে থাকতে গেলে বিজেপি করা যাবে না বলে শাসানো হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, দিন পাঁচেক আগেও এক বার তাঁর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এর পরে তিনি সপরিবারে গোপালমাঠে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
সোমনাথবাবু জানান, দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে বাড়িতে হামলার খবর পান। কর্মীদের সঙ্গে তিনি বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি আসেন। হামলার প্রতিবাদে এ দিন এলাকায় সোমনাথবাবু ও তাঁর মাকে নিয়ে মিছিল করেন দলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। তাঁরা রাস্তায় বসে পড়েন। স্থানীয় বিজেপি নেতা সঞ্জিত বাউড়ির অভিযোগ, ‘‘এর আগেও বহুবার এলাকায় দলের কর্মী-সমর্থকদের ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া এমনকি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।’’ পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না বলে দাবি তাঁর। পুলিশ অভিযোগ মানেনি। পুলিশ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ দিকে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে পারছে না বিজেপি। তাই এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy