ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।
কারখানায় ঢুকে মেরে ম্যানেজারের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল আসানসোল পুরনিগমের বিদায়ী কাউন্সিলর বাঁটুল রজক ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও মারধর ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাঁটুল।
আসানসোলের ওই বেসরকারি কারখানার কর্মী মনোহর দোকানিয়া ও প্রসুন হালদার জানিয়েছেন, ৩ নিরাপত্তা কর্মীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠার পর তাঁদের বরখাস্ত করা হয়। তাঁদের পুনর্বহালের দাবিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাঁটুল রজক তাঁর অনুগামীদের নিয়ে কারখানায় আসেন। আলোচনার সময়ই একজন কারখানার ম্যানেজারের মাথায় সজোরে লাঠি মারেন। মাথা ফেটে যায়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
মারধর ও ভাঙচুর ঘটনার খবর যায় জামুরিয়া থানায়। পুলিশ বাঁটুলের ৩ অনুগামীকে গ্রেফতার করেছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটে এসিপি সেন্ট্রাল তথাগত পাণ্ডে জানান, কাউন্সিলর বাঁটুল রজক-সহ ১২ জনের নামে মামলা করেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই ৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তদন্ত চলছে।
এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতা সত্যজিৎ অধিকারী বলেন, “বাঁটুল রজক কয়লা কারবারের সঙ্গে যুক্ত এক জন গুন্ডা। তাঁর কাছ থেকে এ ছাড়া আর কিছুই আশা করা যায় না। তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের লোকজনকে টিকিট দিয়ে কাউন্সিলর বানিয়ে এলাকায় আরও অশান্তি সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।”
সব অভিযোগ অস্বীকার করে বাঁটুল দাবি করেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনও ভাবেই জড়িত নন। কাউকে মারধর বা ভাঙচুর করা হয়নি। এক মাতাল এসে হঠাৎ ম্যানেজারকে মারে। তিনিই তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেন। কোনও ভাঙচুরের ঘটনা হয়নি। পুরোটাই মিথ্যা।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে দল কোনও ভাবেই তাঁর পাশে থাকবে না। কেউ ভুল করলে আইন তার কাজ করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy