Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

পরপর ধাক্কা ১০ জনকে, অবরোধ ভূতবাংলোয়

ছটপুজো শেষে বাড়ি ফেরার পথে দু’টি মোটরবাইকের ধাক্কায় দুই আরোহী-সহ মোট ১২ জন জখম হয়েছেন। বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের জামুড়িয়ার ভূতবাংলো মোড়ের ঘটনা। দুর্ঘটনার পরে একটি মোটরবাইকে ভাঙচুরও চালানো হয় বলে অভিযোগ।

এই বাইকেই ভাঙচুর। নিজস্ব চিত্র

এই বাইকেই ভাঙচুর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১৬
Share: Save:

ছটপুজো শেষে বাড়ি ফেরার পথে দু’টি মোটরবাইকের ধাক্কায় দুই আরোহী-সহ মোট ১২ জন জখম হয়েছেন। বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের জামুড়িয়ার ভূতবাংলো মোড়ের ঘটনা। দুর্ঘটনার পরে একটি মোটরবাইকে ভাঙচুরও চালানো হয় বলে অভিযোগ।

পুলিশ জানায়, দু’টি মোটরবাইকে চড়ে তিন জন করে ছ’জন অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ভূতবাংলোর দিকে যাচ্ছিলেন। মোটরবাইক দু’টি পরপর দশ জন পথচারীকে ধাক্কা মারে। জখমদের বয়স পাঁচ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। জখমদের মধ্যে এক জন শিশু, দুই কিশোরী, এক তরুণী এবং দু’জন যুবতী রয়েছেন। দু’টি মোটরবাইকের একটি রাস্তায় পড়ে যায়। উত্তেজিত জনতা সেটিতে ভাঙচুর চালায়। অন্য মোটরবাইকটি এলাকা থেকে চম্পট দেয়। উল্টে পড়া ওই মোটরবাইকের দু’জন আরোহী চোট পান। তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁরা আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি জখমদের প্রথমে জামুড়িয়ার বাহাদুরপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন পাঁচ জনকে রাজবাঁধের কাছে বেসরকারি হাসপাতালে, তিন জনকে রানিগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও এক জনকে ইসিএলের কাল্লা সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করান। এক জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনার পরেই রাস্তা অবরোধ শুরু করেন এলাকাবাসীর একাংশ। সেই সঙ্গে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা মজবুত করা, জখমদের চিকিৎসাজনিত খরচ দেওয়ার দাবিও জানানো হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরোধ চলে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ লাঠি চালিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। যদিও লাঠি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জখমেরা প্রত্যেকেই ভূতবাংলোর বাসিন্দা। দু’জন মোটরবাইক আরোহী রানিগঞ্জের আমরাসোঁতার বাসিন্দা।

এই ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দা ধনঞ্জয় দুসাদ, নাথুনি দুসাদ, নরনারায়ণ মুখোপাধ্যায়দের ক্ষোভ, ভূতবাংলো মোড় দুর্ঘটনা প্রবণ হয়ে উঠেছে। গত এক মাসে তিনটি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক জনের মৃত্যুও হয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, এই এলাকায় সর্বক্ষণের ট্র্যাফিক কর্মী মোতায়েন করতে হবে। তৈরি করতে হবে স্পিড ব্রেকার।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (‌সেন্ট্রাল) অলোক মিত্রের বক্তব্য, ‘‘লাঠি চালানো হয়নি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে স্পিড ব্রেকার তৈরির জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। দ্রুত তা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। ওই এলাকায় ট্র্যাফিক কর্মীও মোতায়েন করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE