—প্রতীকী ছবি।
জেলার বেকার যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করে তুলতে নিখরচায় বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেবে জেলা প্রশাসন। চাকরিপ্রার্থীদের প্রস্তুতির জন্য প্রতিযোগিতামূলক বইপত্র, পত্রিকা থাকবে, এমন কয়েকটি পাঠাগার তৈরির কথা জানিয়েছে আসানসোল পুরসভাও।
সম্প্রতি জেলা প্রশাসন পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরিতে বৈঠকও করেছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রশান্ত মণ্ডলের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই বৈঠকে যোগ দেন আসানসোল পুরসভা ও জেলা প্রশাসনের কয়েক জন আধিকারিক এবং শহরের কয়েকটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কর্তারা। ২০১৯ সাল থেকেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, রাজ্য সরকারের স্বরোজগার বিভাগের উদ্যোগে রাজ্য জুড়ে এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত জেলা আধিকারিকেরাই এই বিষয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করবেন। সঙ্গে থাকবেন পঞ্চায়েত সমিতি ও পুরসভার আধিকারিকেরা। প্রশান্তবাবু বলেন, ‘‘এমন প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের বেকার যুবক-যুবতীরা সুবিধা পাবেন। নিজেদের পছন্দমতো ব্যবসাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে অথবা নতুন কোনও ব্যবসায় নামার জন্য তাঁদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’’
গ্রামীণ এলাকায় বেকার যুবক-যুবতীরা ব্লক অফিস ও শহরাঞ্চলের বেকাররা পুরসভা কার্যালয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার আবেদন জমা করতে পারবেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে সরকার নিজে কোনও নতুন কেন্দ্র খুলবে না। জেলার নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বেসরকারি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা হবে। সেখানেই আগ্রহীদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে।
তবে এই প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। জেলার বেকার যুবক-যুবতীদের একাংশের প্রশ্ন, প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রাথমিক মূলধনের ব্যবস্থা কী ভাবে হবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কর্তারা জানান, এ পর্যন্ত জেলার আটটি ব্লকের একাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে স্বরোজগার প্রকল্পে প্রায় ৪৮ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও নতুন উদ্যোগীদের ঋণের ব্যবস্থা করা হবে।
এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ ভাবে শহরের চাকরিপ্রার্থীদের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য একাধিক প্রতিযোগিতামূলক বইসমৃদ্ধ পাঠাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসানসোল পুরসভা। মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, পুরসভার ১০৬টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারাই যেন এই সুবিধা পান তা নিশ্চিত করতে ‘জোন’ ভাগ করে পাঠাগার তৈরি হবে। এর সদস্য হতে টাকা লাগবে না। পাঠাগার তৈরির জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
মেয়র আরও জানান, বর্তমানে বিভিন্ন কলেজে প্রাক্তন ছাত্র সঙ্ঘ সমিতি তৈরি হয়েছে। এই সমিতির সদস্যদের কাছেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা চাইলে কলেজেও এমন পাঠাগার তৈরি করা হবে। এতে প্রথাগত শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি পড়ুয়ারা চাকরিরও প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy