প্রতীকী ছবি।
জল চুরি আটকাতে এ বার ট্যাঙ্কারে জিপিএস ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসানসোল পুরসভা। মাসখানেকের মধ্যে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। গরম পড়ার আগে জল চুরি আটকাতে আরও কিছু কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও পুরসভা জানায়। গরমে কোনও এলাকা যেন নির্জলা না থাকে, তা নিশ্চিত করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি।
গরমে যাতে জেলার সর্বত্র পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে, তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সেখানে জেলাশাসক মূলত জল চুরি আটকাতে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে তিনি জানান, চুরি আটকানো সম্ভব হলে জলের সঙ্কট অনেকটাই মেটানো যাবে। সে জন্য পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকেও ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বৈঠক করে আসানসোল পুরসভা। জল দফতরের মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায় বলেন, ‘‘আমরা পুরসভার সমস্ত জলের ট্যাঙ্কারে জিপিএস যন্ত্র বসাচ্ছি। এর ফলে জানা যাবে ট্যাঙ্কগুলি কোথায় কত পরিমাণ জল সরবরাহ করছে।’’
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় চাহিদামতো জল সরবরাহ করার জন্য প্রায় আড়াইশো ট্যাঙ্কার রয়েছে। গরমের সময়ে জলের চাহিদা মেটাতে আরও কিছু ট্যাঙ্কার ভাড়া নেওয়া হয়। প্রত্যেকটি ট্যাঙ্কারে জিপিএস যন্ত্র বসানো হবে। জলের ট্যাঙ্কারগুলি কোন এলাকায় কত জল সরবরাহের জন্য যাচ্ছে, তা জিপিএসের মাধ্যমে পুর কর্তৃপক্ষ নজরে রাখবেন। কোনও গরমিল ধরা পড়লে বোঝা যাবে, জল চুরি হয়েছে।
পূর্ণশশীবাবু জানান, অতীতে দেখা গিয়েছে, পুর কর্তৃপক্ষের অগোচরে পুরসভার ট্যাঙ্কারে করে একাধিক বেসরকারি কারখানা ও ইটভাটায় জল সরবরাহ করা হয়েছে। এই অভিযোগে পুরসভার বেশ কিছু কর্মী আগে গ্রেফতারও হয়েছেন। পূর্ণশশীবাবু অভিযোগ করেন, জলের পাইপলাইন থেকে পাম্পের মাধ্যমে কিছু বাসিন্দা জল টেনে নিচ্ছেন। এর ফলে বাকিরা জল পাচ্ছেন না। পুর কর্তৃপক্ষের কাছে সম্প্রতি এ রকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। ঠিক হয়েছে, এ বার এমন অভিযোগ পেলেই পুরকর্মীরা ওই পাম্প বাজেয়াপ্ত করবেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিয়োগও করা হবে। পুর কর্তৃপক্ষের আশা, এই সব ব্যবস্থা ঠিক ভাবে চালু হলে গরমে শহরে জলকষ্ট অনেকটাই কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy