জল নেওয়া। —নিজস্ব চিত্র।
টানা তিন দিন। অবশেষে জল-যন্ত্রণা মুক্তি পেলেন দুর্গাপুরবাসী। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় শহরের হাতে গোনা কয়েকটি এলাকায় অল্প পরিমাণ জল আসে। তবে মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দুর্গাপুর ব্যারাজ মেরামতের জন্য সব জল বের করে দিতে হয়। দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে একটি আট কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যানাল বেরিয়ে গিয়েছে। সেই ক্যানাল থেকে পাম্পের সাহায্যে জল তুলে তা পরিশোধন করে পানীয় জল হিসেবে সরবরাহ করা হয়। ফলে শনিবার থেকে শহরে জলের আকাল শুরু হয়। পুরসভা ও ডিএসপি ট্যাঙ্কারে করে জল পাঠানোর কাজ শুরু করলেও তার প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট ছিল না। এমনকী ২০ লিটার জলের জ্যারিকেন ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরেও বিক্রি হয়েছিল শহরে। জলের অভাবে সোমবার দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও বন্ধ করে দিতে হয়। ব্যারাজে গেট মেরামত হয়ে গিয়েছে শুনে আশায় বুক বাঁধে নির্জলা দুর্গাপুর। রবিবার সকাল থেকে ব্যারাজে ফের জল জমতে শুরু করে। সোমবার দুপুরে ফিডার ক্যানালে জল পৌঁছয়। বিকেলে পাম্প হাউস থেকে জল পাঠানো শুরু হয় পরিশোধনাগারে। রাতেই ডিএসপি কর্তৃপক্ষ টাউনশিপের বেশ কিছু জায়গায় অল্প পরিমাণে জল সরবরাহ করেন। ডিপিএলও কিছু জায়গায় জল সরবরাহ করে। মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে পুরসভা, ডিএসপি ও ডিপিএল পুরোদমে জল সরবরাহ শুরু করেছে। আগের মতো এ দিনও দু’বার জল এসেছে।
জল সরবরাহ শুরুর পরে কিছু জায়গায় কোথাও কম জল আসা, কোথাও নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও জল না মেলার অভিয়োগ ওঠে। কিম্তু বেলা যত গড়িয়েছে অভিযোগের বদলে স্বস্তির হাওয়াই বেশি দেখা গিয়েছে শহরে। এমএএমসি-র বাসিন্দা অনিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে সাতটায় জল এসেছে কলে। এই ক’দিন যা ভোগান্তি গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy