ঘটনাস্থলে ভিড় জনতার। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
ময়না-তদন্ত না করিয়েই ওকে রোড এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ ইসরার (৩৫) নামে এক যুবককে কবর দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাঁর শ্বশুর আসানসোল উত্তর থানায় ইসরারের পরিজনদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর পরে, বৃহস্পতিবার এক জন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহটি কবর থেকে তুলে ময়না-তদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। পরে, দেহটি ফের কবর দেওয়ার জন্য পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
মৃতের শ্বশুর মুস্তাফিজ আলম অভিযোগে জানান, তাঁর জামাই ইসরারের সঙ্গে বহু দিন থেকেই পারিবারিক বিবাদ চলছে পড়শি পাঁচ খুড়তুতো দাদা-ভাইদের। আসানসোল বাজারে ইসরারের কাপড়ের একটি দোকান আছে। পাশেই রয়েছে তাঁর খুড়তুতো দাদা-ভাইদের আরও একটি কাপড়ের দোকান। রবিবার সকালে দোকান খোলার পরে, খুড়তুতো দাদা-ভাইদের সঙ্গে ইসরারের বচসা বাধে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ইসরারকে বেধড়ক মারধর করে দাদা-ভাইয়েরা। তখনকার মতো পরিস্থিতির সামাল দেন অন্য দোকান মালিকেরা। তাঁরাই ইসরারকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
কিন্তু পরিবারের দাবি, ইসরার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে সেন-র্যালে রোডের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। নিহতের বাবা হাজি মহম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘‘সকলের ইচ্ছায় দেহের ময়না-তদন্ত না করিয়ে কবর দিই ছেলের দেহ।’’
এ দিকে, ঘটনার কথা শুনে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে ইসরারের স্ত্রী মুমতাহার এবং তাঁর বাবা মুস্তাফিজ আসানসোলে আসেন। মুস্তাফিজের দাবি, ‘‘পুরো ঘটনা শুনে বুঝি, এটা খুন। খোঁজ নিয়ে দেখি, অভিযুক্ত আত্মীয়েরা ইসরার বাবাকেও ঘটনা পাঁচ কান না করার হুমকি দেয়। এমনকি, পুলিশ বা লোক জানাজানি হলে তাঁকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়।’’
পুলিশ জানায়, আদালতের অনুমতি নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট তথা ডিস্ট্রিক্ট মাইনরিটি অফিসার লডন লেপচার উপস্থিতিতে দুপুর দেড়টা নাগাদ দেহটি কবর থেকে তোলা হয়। ঘটনাস্থলে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর নাসিম আনসারি। এ দিন সকাল থেকে এলাকায় শতাধিক পুলিশ-কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যেরা সোমবার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে থেকেই এলাকাছাড়া বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। বহু চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy