ইএসআই হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
আবার দুই মন্ত্রীর সংঘাত আসানসোলে। ইএসআই হাসপাতালের সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদ্বোধনে হাজির না থাকায় রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে অসৌজন্যের অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। মলয়বাবু এই অনুষ্ঠানের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন।
আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালে ৫০ শয্যার একটি আধুনিক ভবন তৈরির প্রকল্প নিয়েছে শ্রম মন্ত্রক। ২০১৫ সালের ২৫ অগস্ট সেটির শিলান্যাস করেন স্থানীয় সাংসদ তথা ভারী শিল্প প্রতিমন্ত্রী বাবুল। এ দিন প্রকল্পের উদ্বোধনে বাবুল ছাড়াও ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রম প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয়বাবুকেও। কিন্তু তিনি আসেননি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
পানাগড়ে জাতীয় সড়কের বাইপাসের উদ্বোধন থেকে শহরের সমস্যা নিয়ে মলয়ের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি, আসানসোলে দুই মন্ত্রীর মধ্যে সংঘাত বেধেছে বারবারই। এ দিন বাবুল দাবি করেন, রাজ্যের মন্ত্রীর না আসা চূড়ান্ত অসৌজন্য ও অসহযোগিতা। তাঁর কথায়, ‘‘মলয়বাবু থাকলে ভাল হত। কিন্তু তা না করে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যে ভাষায় চিঠি লেখা হয়েছে সেটা অসৌজন্য। রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে না বলেই এখানে উন্নয়ন বাধা পাচ্ছে। তবে আমার বিশ্বাস, দ্রুত রাজ্যের আকাশ থেকে কালো মেঘ কেটে যাবে।’’ এ দিন অনুষ্ঠান মঞ্চটি গেরুয়া, নীল ও সাদা কাপড়ে তৈরি মঞ্চ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘‘উন্নয়নের কাজে সবাইকে এক সুরে বাঁধতেই এই রং ব্যবহার করা হয়েছে। আশা করি, কার্যক্ষেত্রেও এর প্রয়োগ হবে।’’
মলয়বাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি সন্তোষ গঙ্গোয়ারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি। অসৌজন্য প্রকাশ পায়, এমন কোনও ভাষা তাতে নেই।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘তিন বছর আগে এক বার এই প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠান হয়েছে। ফের ওই পুরনো প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের অর্থ হল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা। এমন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কোনও মানে হয় না।’’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সন্তোষ গঙ্গোয়ার জানান, সাধারনত যে সব হাসপাতালে এক লক্ষ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হয়, সেখানেই এই প্রকল্প চালুর নিয়ম রয়েছে। আসানসোলের ইএসআই হাসপাতালে এখন প্রায় ৮০ হাজার মানুষ পরিষেবা পান। মন্ত্রী বলেন, ‘‘বাবুল সুপ্রিয়ের বিশেষ অনুরোধে আমরা আসানসোলে নিয়মের ব্যতিক্রম করেছি।’’ তিনি জানান, এই প্রকল্পে আইপিডি, ওপিডি, আইসিইউ, রেডিওলজি এবং রোগনির্ণয়ের ব্যবস্থা হবে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকায় সাড়ে ছ’হাজার বর্গমিটার এলাকায় আবাসন তৈরি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy