Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘বুটা’ বামপন্থী শিক্ষকদের হাতে

ওয়েবকুপা ছাড়া আর কোনও সংগঠন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সম্প্রতি উপাচার্য নিমাই সাহার ঘরে বসে এমন বার্তা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসকদল প্রভাবিত ওই সংগঠনের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:১২
Share: Save:

ওয়েবকুপা ছাড়া আর কোনও সংগঠন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সম্প্রতি উপাচার্য নিমাই সাহার ঘরে বসে এমন বার্তা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসকদল প্রভাবিত ওই সংগঠনের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। তার দিন কয়েকের মধ্যে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বর্ধমান ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বুটা) ফের গেল বামপন্থী শিক্ষকদের দখলে। সমিতির নির্বাচন থেকে দূরে থাকলেন তৃণমূল মনোভাবাপন্ন শিক্ষকেরা।

১ অক্টোবর বিকেলে উপাচার্যের ঘরে বৈঠক করেন ওয়েবকুপার রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিটের অধ্যাপকেরাও হাজির ছিলেন। বৈঠকে হাজির একাংশের দাবি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বা ‘বুটা’র অস্তিত্ব কেন রয়েছে, সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্য নেতৃত্ব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, বুটা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষকদের সংগঠন। সেখানে সব ধরনের মনোভাবাপন্ন শিক্ষকেরাই রয়েছেন। অভিযোগ, তা মানতে নারাজ ছিলেন রাজ্য নেতৃত্ব। একপ্রকার ঠিক হয়, ওয়েবকুপা ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য কোনও সংগঠন থাকবে না। এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে।

এই ঘটনার সপ্তাহখানেক পরেই বুধবার বুটার নিজস্ব নির্বাচনে বামপন্থী প্রার্থীরা সব আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। সংগঠনের দাবি, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই নিজস্ব শিক্ষক সংগঠন রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৪ জন শিক্ষকের মধ্যে বুটার সদস্য ১৮৫ জন। যার মধ্যে তৃণমূল প্রভাবিত ‘ওয়েবকুপা’র বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের প্রথম সারির নেতারাও রয়েছেন। ২০১১ সালের পর থেকে তৃণমূল মনোভাবাপন্ন শিক্ষকেরা বুটার অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। কিন্তু, তিন-চারটি আসন পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। কমিটি তাঁরা হাতে পাননি।

এ বার বুটার সভাপতি পদে জয়ী অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বুটার দখল নিতে পারেনি বলে সংগঠনের অস্তিত্বকে অস্বীকার করতে চাইছে কেউ-কেউ। সেটা তো হতে পারে না।’’ সংগঠনের সম্পাদক পদে ফের জয়ী অংশুমান করের কথায়, ‘‘বুটা কোনও রাজনৈতিক দলের গণসংগঠন নয়। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অরাজনৈতিক সংগঠন। আগে তো বুটার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হয়েছে।’’

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ওয়েবকুপা’র দায়িত্বে থাকা জয়প্রকাশ কেশরী বা রজত ভট্টাচার্যেরা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে রাজ্য সংগঠনের প্রাক্তন এক কর্তা বলেন, ‘‘এক সময়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৫ জন শিক্ষক আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তার পরে কী হয়েছে, সেটা দেখা প্রয়োজন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE