Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

অবরোধে দুর্ভোগ ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও

জনজীবনে বিশেষ প্রভাব না পড়লেও ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে বিক্ষিপ্ত অশান্তি হল জেলার নানা জায়গায়। সাত জায়গায় অবরোধ হয়। পুলিশ গিয়ে তা তুলে দেয়।

বাঁ দিকে, গলসি স্টেশনে রেল অবরোধ বাম কর্মীদের।

বাঁ দিকে, গলসি স্টেশনে রেল অবরোধ বাম কর্মীদের।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৪৬
Share: Save:

জনজীবনে বিশেষ প্রভাব না পড়লেও ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে বিক্ষিপ্ত অশান্তি হল জেলার নানা জায়গায়। সাত জায়গায় অবরোধ হয়। পুলিশ গিয়ে তা তুলে দেয়।

বর্ধমান-হাওড়া মেন লাইনে মেমারির নিমো স্টেশনে সিপিএম কর্মীরা এ দিন রেল অবরোধ করেন। তার জেরে পরপর বেশ কয়েকটি ট্রেন আটকে যায়। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুকান্ত কোনার-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পূর্বস্থলীর ভান্ডারটিকুরি স্টেশনে অবরোধের জন্য হাওড়া-কাটোয়া লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। আধ ঘণ্টা অবরোধের জেরে আশপাশের নানা স্টেশনে কয়েকটি লোকাল ট্রেন আটকে পড়ে। রেল অবরোধ ওঠার পরে জাহান্নগর এলাকায় এসটিকেকে রোড অবরোধ শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক ধরে তা চলে।

অবরোধ হয় বর্ধমান-কালনা রোডের হাটগোবিন্দপুরেও। পুলিশ গিয়ে তা তুলে দেয়। বর্ধমান-আসানসোল রেললাইনে গলসি স্টেশনে পৌনে ১২টা নাগাদ একটি লোকাল ট্রেন আটকে দেন ধর্মঘট সমর্থকেরা। বেশ কিছুক্ষণ পরে রেলপুলিশ গিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়। সেখান থেকে গিয়ে তাঁরা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন। আটকে যায় নানা বাস ও গাড়ি। তবে পুলিশ যেতেই অবরোধ উঠে যায়।

বর্ধমান শহরে পার্কাস রোড-কার্জন গেট হয়ে ধর্মঘটের সমর্থনের একটি মিছিল করে সিপিএম। তার পরেই তৃণমূলের পতাকা হাতে এক দল কর্মী-সমর্থককে কার্জন গেট এলাকায় মিছিল করতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের হাতে লাঠি-লোহার রড ছিল বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল নেতাদের দাবি, লাঠি-রড হাতে তাঁদের কোনও কর্মী মিছিল করেননি। গোলমাল এড়াতে নানা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

বাসের উপরে হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল কাটোয়া থানার পুলিশ। কাটোয়া-বর্ধমান রোডে জাজিগ্রামের সিপাইদিঘি মোড়ে একটি যাত্রিবাহী বাসে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। পুলিশের দিকেও লাঠি নিয়ে অবরোধকারীরা তেড়ে যান বলে অভিযোগ। ধৃতেরা সকলেই কাটোয়া শহরের বাসিন্দা। বুধবার তাঁদের কাটোয়া আদালতে তোলা হলে দু’দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ দিন আইনজীবীরা কাজ না করায় ধৃতদের তরফে কেউ সওয়াল করেননি বলে বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

মঙ্গলবার পালশিটে এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধের সময়ে পরীক্ষার্থীদের গাড়িতে হামলার অভিযোগে মেমারি থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার আদালতে তোলা হলে ধৃতদের জামিন মঞ্জুর হয়। মঙ্গলবার গুসকরা থেকে ৯ জন সিপিএম কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয় গাড়ি ভাঙচুর, বেআইনি জমায়েত, পুলিশকে মারধর-সহ নানা অভিযোগে।

বুধবার আদালতে তাঁদের জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

তবে প্রথম দিনের মতো ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও বাজার-দোকান এবং অফিস-কাছারি ছিল প্রায় স্বাভাবিক। এ দিন অনেকটা সচল ছিল স্কুল-কলেজও। রাস্তায় নেমেছিল যথেষ্ট বাস। ভিড় ছিল নানা স্টেশনেও। বাম নেতাদের যদিও দাবি, ধর্মঘটে মানুষের ভাল সাড়া মিলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Strike Bharat Bandh 2019 Bharat Bandh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE