Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Bhatar

রাস্তার কাজে নামলেন বাসিন্দারাই

স্থানীয় পাতুন গ্রামের বাসিন্দা তথা ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুমন্ত বন্দোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, লোহারডাঙা এলাকার ভিতরের পাড়াগুলিতে ঢালাই রাস্তার কাজ করা হয়েছে।

ভাঙা ইট কিনে মেরামতের চেষ্টা। নিজস্ব চিত্র

ভাঙা ইট কিনে মেরামতের চেষ্টা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভাতার শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২০ ০২:৩৬
Share: Save:

বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। সে কারণে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে বেহাল রাস্তা মেরামতে নামলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের মাহাচান্দার খুড়ুল গ্রামের লোহারডাঙা এলাকার এক দল বাসিন্দা। লকডাউনে আর্থিক দুরবস্থা সত্ত্বেও চাঁদা তুলে প্রায় ২৬ হাজার টাকা দিয়ে ভাঙা ইট কিনে বুধবার রাস্তা মেরামত শুরু করেন তাঁরা।

প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ৭৭টি আদিবাসী পরিবারের বাস ওই এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা বারকু মার্ডি, সুনীল হেমব্রম, হরি কিস্কুদের অভিযোগ, কয়েকবছর ধরে খুরুল গ্রামের বামুনপাড়া থেকে লোহারডাঙা পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার হয়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। স্কুল-পড়ুয়া থেকে অসুস্থ মানুষজন যাতায়াত করতে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েন। পঞ্চায়েত থেকে বিধায়ক, নানা জায়গায় রাস্তা সারানোর আবেদন করেও ফল হয়নি বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

গ্রামবাসীর আরও আক্ষেপ, বর্ষাকালে এলাকায় খড়ি নদী ভরে ওঠে। নদী পেরিয়ে মাহাচান্দা পঞ্চায়েত তিন কিলোমিটারের দূরত্ব। রাস্তা ধরে যেতে হলে প্রায় পনেরো কিলোমিটার। বর্ষায় নদী পেরোতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাই লোহারডাঙা, খুড়ুল, বাসুদা-সহ নানা গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি, নদীতে সেতু তৈরি করা হোক।

স্থানীয় পাতুন গ্রামের বাসিন্দা তথা ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সুমন্ত বন্দোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, লোহারডাঙা এলাকার ভিতরের পাড়াগুলিতে ঢালাই রাস্তার কাজ করা হয়েছে। খুরুলের মোড় থেকে লোহারডাঙা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে এক কিলোমিটার ঢালাই করা হয়েছে। আরও এক কিলোমিটারের জন্য দরপত্রের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। আরও পাঁচশো মিটারের কাজের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। বিধায়ক সুভাষ মণ্ডলের উদ্যোগে খুরুল গ্রামের বামুনপাড়া থেকে লোহারডাঙা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তার প্রকল্পও জমা দেওয়া আছে।

সেতুর দাবি প্রসঙ্গে সুমন্তবাবু জানান, ওই এলাকায় সেতু তৈরিতে ১৮-২০ কোটি টাকা লাগবে। কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে নর্জায় খড়ি নদীতে সেতু রয়েছে। তাই এখনই নতুন সেতুর অনুমতি পাওয়া সম্ভব নয়। বর্ষায় পারাপারে প্রশাসনের তরফে একটি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bhatar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE