—ফাইল চিত্র
কর্মসূচির নাম, ‘আর নয় অন্যায়’। সেখান থেকেই ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার দুর্গাপুরের ঘটনা।
এ দিন ‘আর নয় অন্যায়’ শীর্ষক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুরে ভিড়িঙ্গি মোড় থেকে বেনাচিতির পাঁচ মাথার মোড় পর্যন্ত মিছিলটির আয়োজন করে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে লক্ষ্মণবাবু বলেন, ‘‘এত দিন যা অন্যায় হয়েছে, আমরা তার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করেছি। এ বার যদি অন্যায়, সন্ত্রাস, খুন হয়, মিথ্যা মামলা দেওয়া হয় তবে, মারের বদলে মার, খুনের বদলে খুন হবে।’’ ঘটনাচক্রে, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার অণ্ডালের এক সমাবেশ থেকেও লক্ষ্মণবাবু একই মন্তব্য করেছিলেন। পরে নিজের মন্তব্যের ‘ব্যাখ্যা’ দিতে গিয়ে লক্ষ্মণবাবু দাবি করেন, ‘‘আমাদের ১২০ জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে। তাই প্রতিশোধের রাস্তা নেব।’’ মিছিলে ছিলেন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি অরিজিৎ রায়, জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত প্রমুখ।
তবে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের নীতি, ‘বদলা নয়, বদল চাই’। নাথুরাম গডসের উত্তরাধিকারী লক্ষ্মণবাবুরা খুনের কথা বলবেন, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই।’’ তৃণমূলের দুর্গাপুর ১ ব্লক সভাপতি রাজীব ঘোষের টিপ্পনী, ‘‘রাজ্যে কোনও অন্যায় না হওয়া সত্ত্বেও ওঁরা ‘আর নয় অন্যায়’ বলছেন এক দিকে। আর এক দিকে বিজেপি নেতারা অন্যায় করার কথা বলছেন।’’
কিন্তু লক্ষ্মণবাবুর এই মন্তব্যের মধ্যে আদতে আইন নিজের হাতে নেওয়ার বার্তা রয়েছে বলে মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। এ বিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক নেতারা প্রায়ই বেফাঁস মন্তব্য করেন, যা কাম্য নয়। নির্দিষ্ট অভিযোগ হলে, পুলিশ মামলা করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy