পূর্বস্থলী ব্লক অফিসের সামনে বিজেপির বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
খাদ্য সুরক্ষার কার্ড এবং রেশনে মালপত্র বিলিতে অসঙ্গতির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। মঙ্গলবার পূর্বস্থলী ২ ব্লকে ওই বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। যদিও তৃণমূল নেতাদের দাবি, সবটাই নাটক।
এ দিন বেলা দেড়টা নাগাদ পূর্বস্থলীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিজেপি নেতা-কর্মীরা ব্লক অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মূলত সাতটি দাবিতে সরব হয়েছিলেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, খাদ্য সুরক্ষার কার্ড নিয়ে সাধারণ মানুষের হয়রানির শেষ নেই। প্রকৃত গরিবেরা এই কার্ডের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ ছাড়াও খাদ্য সুরক্ষার কার্ডে যাঁদের মালপত্র দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার উজিয়ে রেশন ডিলারের দোকান থেকে যেতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে বলেও তাঁদের দাবি। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, খাদ্য সুরক্ষা কার্ড বণ্টনের নামে চার সপ্তাহ ধরে কেরোসিন ছাড়া অন্য কোনও মালপত্র দেওয়া হয়নি। ওই মালপত্র খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করা হয়েছে বলেও তাঁদের দাবি।
বিক্ষোভ চলাকালীন অনেকেই অভিযোগ করেন, অন্তোদয় যোজনায় মাসে যেখানে ৩৫ কেজি চাল দেওয়ার কথা সেখানে মাথা পিছু মিলছে ১৫ থেকে ২০ কেজি চাল। আটাও ওজনে কম মিলছে বলেও তাঁদের দাবি। বিক্ষোভ চলাকালীনই বিজেপি নেতাদের এখটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য ব্লক অফিসে যান। তবে বিডিও সোমনাথ দে না থাকায় যুগ্ম উন্নয়ন আধিকারিক ভরতচন্দ্র দাস স্মারকলিপিটি জমা নেন। স্মারকলিপিতে বন্যায় সরকারি ক্ষতিপূরণের চেক বিলি নিয়ে স্বজন পোষণেরও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, যে সমস্ত চাষি ক্ষতিপূরণ পাননি। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজনৈতিক রং দেখে ক্ষতিপূরণের চেক বিলি করা হয়েছে বলেও তাঁদের অভিযোগ। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সরকারি ক্ষতিপূরণের চেক তোলা হয়েছে জাল পরচা দেখিয়ে। ওই টাকা পকেটে পুরেছেন শাসক দলের নেতারা।’’
তবে তৃণমূল বিক্ষোভকে পাত্তা দিতেরাজি নয়। পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘ক্ষয়তে ক্ষয়তে বিজেপি এই এলাকায় তলানিতে ঠেকেছে। ভোটের আগে নাটক করে সাধারণ মানুষের মন পাওয়ার চেষ্টা করছে।’’ যুগ্ম উন্নয়ন আধিকারিক জানান, যাঁরা ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁদের নামের তালিকা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রেশন সংক্রান্ত অভিযোগগুলিও খতিয়ে দেখা হবে বলে তাঁর আশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy