Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কথা রাখুক বিজেপি, দাবি জিতেন্দ্রর

দুর্গাপুরের এক বিধায়ক ও ২০ জন কাউন্সিলর ভোটের আগে থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে ফলপ্রকাশের পরে দাবি করেছিল বিজেপি। এ দিন সেই দাবি উড়িয়ে জিতেন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। কেউ দল ছাড়ছেন না। এটা মিথ্যা রটনা।’’

বৈঠকে জিতেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

বৈঠকে জিতেন্দ্র। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৯ ০১:২৭
Share: Save:

লোকসভা ভোটে জেলার দু’টি আসনই হাতছাড়া হওয়ার পরে বদল হয়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে। সোমবার দুর্গাপুরের কাউন্সিলর, দলের ব্লক সভাপতি ও ওয়ার্ড সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করলেন নতুন জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন এই ফল, তা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

দুর্গাপুরের এক বিধায়ক ও ২০ জন কাউন্সিলর ভোটের আগে থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে ফলপ্রকাশের পরে দাবি করেছিল বিজেপি। এ দিন সেই দাবি উড়িয়ে জিতেন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। কেউ দল ছাড়ছেন না। এটা মিথ্যা রটনা।’’ উল্টে তিনি দাবি করেন, বিজেপিতে ‘মোহভঙ্গ’ হওয়ায় অনেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ভবিষ্যতে কেউ মিথ্যা দাবি করলে তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে অবস্থান করে কৈফিয়ত চাওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

জিতেন্দ্রবাবু এ দিন দাবি করেন, বিজেপি এলাকার উন্নয়নের কথা বলে ভোট চেয়েছে। তাই এখন থেকে উন্নয়নের দায়িত্ব বিজেপিকেও নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘এখানকার মানুষ উন্নয়নের দায়িত্ব বিজেপিকে দিয়েছেন। আমরা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করব। বিজেপি প্রতিশ্রুতি পালন না করলে আমরা আন্দোলন করব।’’ সেক্ষেত্রে নাগরিকেরা কি পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন? তাঁর জবাব, ‘‘পুরসভা সীমিত ক্ষমতার মধ্যে কাজ করবে। কিন্তু আসানসোল ও দুর্গাপুরকে মডেল শহর করা হবে বলে যে প্রতিশ্রুতি বাবুল সুপ্রিয় ও সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া দিয়েছেন, তা পালন করতে হবে তাঁদের।’’ দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আসলে লোকসভা ভোটের ফল দেখে তৃণমূল নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। দেশের সরকার আর পুরবোর্ডের ভূমিকা এক করে ফেলছেন।’’

বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে হারের পরেই ‘অন্তর্ঘাত’কে দায়ী করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা। তবে এ দিন জিতেন্দ্রবাবুর দাবি, ‘‘কেউ অন্তর্ঘাত করেননি। বিজেপি টাকা ছড়িয়ে ভোট করেছে। আমরা নজর রাখতে পারিনি।’’ ভোটে হার নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কারণ জানলে তো আমরা হারতাম না। তৃণমূল স্তরে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন কাউন্সিলর, ব্লক সভাপতি, ওয়ার্ড সভাপতিরা। কয়েক দিন সময় লাগবে।’’ দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘কোনও দ্বন্দ্ব নেই। স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। তা নিয়ে মনোমালিন্যও হতে পারে। তা যাতে না হয় তা দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE