প্রতীকী ছবি
তৃণমূল নেতার পরিবারের ছেলের বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল। এ বার বিতর্ক দেখা দিয়েছে ওই নেতা শুভাশিস হালদারের বিজেপির শ্রমিক সংগঠনে যোগদানের নিয়োগপত্র নিয়েও। প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির ‘দ্বন্দ্ব’ও।
সোমবার নিজেকে ‘ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন’-এর কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হিসাবে দাবি করেছিলেন শুভাশিসবাবু। একটি নিয়োগপত্রও দেখান। সেখানে সংগঠনের সম্পাদক হিসাবে রাহুল সাউয়ের নাম ছিল। রাহুলবাবু কালনার এই আইনজীবীকে নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা স্বীকারও করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার নিজেকে ওই সংগঠনের সভাপতি দাবি করে সাধন তালুকদার বলেন, ‘‘যাঁরা নিয়োগপত্র দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাঁরা সংগঠনের কেউ নন। আমি সংগঠনের শুরু থেকেই রয়েছি। যাঁরা এ ভাবে নিয়োগপত্র দিয়েছেন, তাঁরা অনৈতিক কাজ করেছেন।’’ তাঁর দাবি, কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুপ্রকাশ মণ্ডলকে। আর সংগঠনের সম্পাদক রাহুল সাউ নন বৈদ্য দে, বলেও দাবি করেন তিনি। বৈদ্যবাবুও দাবি করেন, তাঁদের হাতেই রয়েছে সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন। যাঁরা অনৈতিক কাজ করছে তাঁদের নামে কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শাহ-সহ নানা জায়গায় অভিযোগ জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
যদিও তাঁদের দাবি মানতে চাননি রাহুলবাবু। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনের সভাপতি বাবান ঘোষ। আর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি আমি। ২১ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন জেলার যে পাঁচ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে তা বৈধ। যাঁরা নিজেদের সংগঠনের সভাপতি, সম্পাদক হিসাবে জাহির করেছেন তাঁরা দুর্নীতির কারণে বহিষ্কৃত।’’ তাঁর আরও দাবি, নিয়োগ অবৈধ হয় তা হলে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়া উচিত। বাবানবাবুর বক্তব্য, ‘‘শুধু শ্রমিক সংগঠন নয়, দলেও ওদের ঠাঁই নেই। আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতির নির্দেশে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি।’’
তৃণমূলের কালনার পর্যবেক্ষক দেবু টুডুর কটাক্ষ, ‘‘এক জনের নিয়োগ নিয়েই দলের দ্বন্দ্ব সামনে এসে গিয়েছে। এরা একজোট হয়ে লড়বে কী করে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy