—ফাইল চিত্র।
বালির ঘাটে তদন্তে যাওয়া আধিকারিকের উপর চড়াও হয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোটের মাঝিখাড়া মৌজার অজয়ের একটি বালি ঘাটে। অভিযোগ, গ্রামবাসী অবৈধ ভাবে বালি তুলে নেওয়ায় ঘাট থেকে বালি তুলতে পারছেন না ইজারাদার। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাল্টা দাবি, যে কান থেকে বালি তোলা হচ্ছে সে জমি তাঁদের।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ পালিগ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝিখাড়া বালির ঘাটে তদন্তে যান ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের রেভিনিউ ইনসপেক্টর রথীন্দ্রনাথ দেওয়াসিন। ঘাটের একটা নির্দিষ্ট অংশ থেকে জোর করে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছিল তাঁর দফতর। দিন পনেরো ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় ঘাটটি বন্ধও ছিল। রথীন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগ, ‘‘গিয়ে দেখি আউশগ্রামের ফতেপুরের ১৫টি ট্রাক বেআইনি ভাবে বালি তুলছে। ট্রাক আটকে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমায় অশ্রাব্য গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া শুরু হয়। কোনও রকমে পালিয়ে ইজারাদার গোপাল সাহার কার্যালয়ে আশ্রয় নিই।’’ তাঁর দাবি, সেখানেও ফতেপুর ও সুন্দলপুরের কয়েকজন বাসিন্দা তাঁকে ধাওয়া করেন। তাঁর হেলমেটও কেড়ে নেওয়া হয়। রাতে আউশগ্রামের সুন্দলপুরের দুই বাসিন্দা জুম্মান খান ও তোরাব খানের বিরুদ্ধে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে অভিযোগ করেন তিনি। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক রূপবিলাস মণ্ডল ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের যদিও দাবি, বছর দুয়েক আগে ওই ঘাটটি লিজ নেওয়ার পর থেকে বালিবাঝোই ট্রাক যাতায়াতে গ্রামের একমাত্র রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। যে জায়গা থেকে বালি তোলা হচ্ছে সেটিও তাঁদের বলে দাবি করেছেন তাঁরা। যদিও ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা যায়, দু’বছর আগে ঘাটটির বৈধকরণ হয়েছে। ‘মাইনস অ্যান্ড মিনারেলস (ডেভেলপমেন্ট এন্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট’ অনুযায়ী প্রাকৃতিক সম্পদের উপরে ব্যক্তি মালিকানা নয় সরকারের অধিকার রয়েছে। তাই নদী গতি পরিবর্তন করে যে জায়গার উপর দিয়ে যাবে সেটাই পতিত জমি হয়ে যাবে। যদিও গ্রামবাসীরা তা মানতে নারাজ।
ইজারাদার গোপালবাবু বলেন, ‘‘১৫ দিন ধরে গ্রামবাসীদের চাপে ঘাট বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছি। ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।’’
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ওই বালি ঘাটের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy