নির্মিয়মাণ বাড়িটি থেকে উদ্ধার হয়েছে বোমা। নিজস্ব চিত্র।
ফের বোমা উদ্ধার হল রায়নায়। সোমসপুর গ্রামে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে সোমবার ৬১টি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ। ওই বাড়িতে নিয়মিত বোমা তৈরি হত বলে স্থানীয় সূত্রে জেনেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটরবাইক ও একটি সাইকেল আটক করা হয়েছে। দুর্গাপুর থেকে সিআইডির বোমা নিষ্ক্রিয়করণের দল এসে ফাঁকা মাঠে ওই বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করেছে বলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরুণ হালদার জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা এ দিন পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, ওই দোতলা বাড়িটিতে নিয়মিত বোমা তৈরি হয়। প্রায় ২০-২৫ জন প্রতিদিন সকালে সেখানে এসে বোমা বাঁধার কাজ করত। বোমা ঠিক মতো তৈরি হয়েছে কি না, তা বুঝতে নিয়মিত গ্রামে বোমা ফাটিয়ে দেখা হত বলেও এলাকাবাসীর একাংশের দাবি। তাঁরা জানান, গ্রামে যে দিন কোনও অনুষ্ঠান বা বিয়েবাড়ি থাকত, সেই রাতে বোমা ফাটিয়ে পরীক্ষা করা হত। তাঁদের দাবি, ওই দুষ্কৃতীদের ভয়ে গ্রামের মানুষ সব জেনেও চুপ করে থাকতেন। এমনকী, এ দিন পুলিশ ওই বাড়ি থেকে বোমা উদ্ধার করার পরেও তাঁরা আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
দিন কয়েক আগে রায়নার বেলসরে বেশ কিছু বোমা উদ্ধার হয়েছিল। তার পরে ফের একই ঘটনা ঘটল সোমসপুরে। বোমা তৈরিতে জড়িত কাউকে অবশ্য সোমবার রাত পর্যন্ত পুলিশ ধরতে পরেনি। জেলার পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘ওই দোতলা পরিত্যক্ত বাড়িটির মালিকের নাম আশাদুল শেখ। আমরা তাঁকে খুঁজছি। তবে এখনও কাউকে ধরা যায়নি।”
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেন, এলাকার এক তৃণমূলের নেতার মদতে ওই বাড়িতে বোমা তৈরির কাজ হত। সেই নেতা কয়েক দিন আগে ধরা পড়ে যেতে পারেন আশঙ্কা করে গা ঢাকা দিয়েছেন। যে মোটরবাইক বা সাইকেল আটক করা হয়েছে, সেগুলি ওই নেতা চড়তেন বলেও বলে দাবি গ্রামবাসীদের। রায়নার তৃণমূল নেতা শৈলেন্দ্রনাথ সাঁই অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের দলের কেউ এর সঙ্গে জড়িত নয়। এটা স্থানীয় দুষ্কৃতীদের কাজ। পুলিশের অনেক আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।’’ পুলিশ এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy