জখম তৃণমূল নেতা। নিজস্ব চিত্র
সকালে ‘কাটমানি’ ফেরত চেয়ে হেনস্থা, বিকেলে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রহিম শেখ-সহ জনা পাঁচেক তৃণমূল কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। সোমবার মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উনিয়া গ্রামের ঘটনা। যদিও বিজেপি হামলার কথা অস্বীকার করেছে। জখম তৃণমূল কর্মীদের মঙ্গলকোট এবং গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রহিম শেখের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশের কাছে রাত পর্যন্ত অভিযোগ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকা ফেরতের দাবিতে কয়েকদিন ধরেই গ্রামে সালিশিসভা বসানো হয়। অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের ডাকা হলেও তাঁরা সেখানে হাজির হননি। বিজেপির অভিযোগ, ওই সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সোমবার সকালে কাজল বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক কর্মীকে রহিম শেখের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন হেনস্থা করে। পাল্টা বিজেপির নেতৃত্বে গ্রামবাসীদের একাংশ মলয় চট্টোপাধ্যায় নামে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে চড়াও তাঁকে হেনস্থা করেন বলে তৃণমূলের অভিযোগ। বিকেলে ফের গোলমাল বাধে। অভিযোগ, উনিয়া মোড়ে তৃণমূলের পালিগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে বসে থাকার সময় বিজেপির লোকজন রহিম শেখ-সহ জনা পাঁচেক কর্মীর উপর হামলা চালায়। রহিম শেখের ছেলে মহিম শেখের অভিযোগ, ‘‘মারধর, কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে।’’ মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা মুন্সী রেজাউল হকের অভিযোগ, “বিজেপির বহিরাগত লোকজন ওই কার্যালয় দখল করতে গিয়েছিল। রহিম শেখকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে।’’
বিজেপি নেতা সমীর দাসের পাল্টা, “কাটমানির প্রতিবাদে গ্রামবাসীদের শান্তি মিছিলে বোমাবাজি করে তৃণমূল। তার পরেই গ্রামবাসীরা ক্ষোভে তাঁদের উপর চড়াও হয়। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy