Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

শহরের রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ পুজো-বৈঠকে

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পুজোর অনুমতি, নানা নির্দেশিকা নিয়ে আলোচনা ও পুজোর দিনগুলোয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ব্যবস্থাপনা করার জন্যই বৈঠক ডাকা হয়েছিল।

চলছে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

চলছে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০২
Share: Save:

দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক ছিল জেলা প্রশাসনের সঙ্গে। কথাবার্তা কিছুটা গড়ানোর পরেই বৈঠক বদলে গেল রাস্তার হাল নিয়ে ‘দোষারোপে’।

বৃহস্পতিবার সংস্কৃতি লোকমঞ্চে ওই সভায় শহর জুড়ে বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ জানাতে শুরু করেন পুজো কমিটির লোকজন থেকে বিদায়ী কাউন্সিলরেরা। জেলাশাসকের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়। শেষমেশ পুজোর আগেই শহরের পথ-চিত্রের হাল ফেরানোর আশ্বাস দেয় জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পুজোর অনুমতি, নানা নির্দেশিকা নিয়ে আলোচনা ও পুজোর দিনগুলোয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ব্যবস্থাপনা করার জন্যই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। হাজির ছিলেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী, পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহ সভাধিপতি দেবু টুডু, মহকুমাশাসক, ব্লক আধিকারিক থেকে স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, দমকল এবং প্রশাসনের সমস্ত বিভাগের আধিকারিক ও পুজো কমিটির সদস্যেরা। বৈঠকের শুরুতে অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম নিয়োগী পুজোর অনুমতি কী ভাবে পাওয়া যাবে এবং রাস্তা আটকে পুজো না করা-সহ নানা বিষয়ে পুজো কমিটিগুলিকে সতর্ক করেন। জেলাশাসক জানান, সম্প্রতি পূর্ত দফতরের তরফেও প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে রাস্তা খোঁড়া বা দখল করা বিষয়ে হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। পুজো কমিটিগুলির প্রশ্নোত্তর পর্বে শুরু হয় বির্তক।

কী ভাবে অনুদান পাওয়া যায় বা বিদ্যুৎ বিভাগের গত বছরের ভর্তুকি না পাওয়া নিয়ে প্রশ্নের মাঝেই এক পুজো কমিটির কর্তা শহরের ৩৫টি ওয়ার্ডের বেহাল রাস্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুজোর আগে রাস্তা সারানোর দাবিও করা হয়। বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসক তথা বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক পুষ্পেন্দু সরকার জানান, ‘আম্রুত’ প্রকল্পে জলের লাইনের জন্য রাস্তা কাটা হয়েছিল। ঠিকাদারকে রাস্তা অস্থায়ী ভাবে মেরামত করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বর্ধমান পুরসভাও ৫১টি রাস্তা জরুরি ভিত্তিতে সারানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানান তিনি। পুজোর বাকি দিন কুড়ির মধ্যে সমস্ত রাস্তা মেরামত করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন জেলাশাসকও। এর পরেই সুর চড়ান শহরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর সনৎ বক্সী।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মাত্র ২০ দিনে কী ভাবে শহরের সমস্ত রাস্তা সারানো সম্ভব এবং রাস্তা সারানোর ব্যাপারে প্রশাসনের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই কাউন্সিলর। বর্ধমান শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা তৃণমূলের এক নেত্রী তথা পুজা কমিটির সদস্যও তাঁকে সমর্থন করেন। জেলাশাসকের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয় তাঁদের। পরে জেলাশাসক বলেন, ‘‘জলের লাইন যাওয়ার জন্য রাস্তা কাটা হয়েছে। পুজার আগে তা প্রাথমিক ভাবে মেরামত করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja Durga Puja 2019 Burdwan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE