সৌন্দর্যায়ন: কাজ চলছে বর্ধমান মেডিক্যালে। নিজস্ব চিত্র
হাসপাতালে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, দুর্গন্ধের চোটে যেখানে নাকে রুমাল দিয়ে যাওয়ায় দস্তুর। তবে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ‘অপরিচ্ছন্ন’ ছবিটার বদলাতে সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে পুর দফতর। তার প্রাথমিক কাজও শুরু হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বরাদ্দ টাকা চলে এসেছে। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুরকর্তারা বৈঠকে বসে কোথায় কোথায় কাজ হবে, তার খসড়াও তৈরি করে ফেলেছেন। তা অনুযায়ী, ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে থেকে সুপারের দফতরের পাশ দিয়ে শিশু বিভাগের সামনের রাস্তা ধরে সোজা বহির্বিভাগ পর্যন্ত এলাকায় প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। তার পাশ দিয়ে নতুন ভবনের সামনে হয়ে সিটি স্ক্যানের গেট পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে ‘পেপার ব্লক’ বসানোর কাজ চলছে। দু’ধারে থাকবে গাছ, বসার জায়গা। এ ছাড়া ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরের সামনের রাস্তাটিরও সৌন্দর্যায়ন করা হবে। হাসপাতালের বাকি অংশ, পুকুরের সৌন্দর্যায়ন, আলোকসজ্জা-সহ নানা কাজের জন্য স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁ বলেন, “পুরসভাকে সঙ্গে নিয়ে সৌন্দর্যায়নের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।”
সৌন্দর্যায়নের কাজের এমন তোড়জোড়ে খুশি রোগী থেকে চিকিৎসক, সকলেই। কিন্তু সেই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জোর, হাসপাতালে হকার-সমস্যার সমাধান, পরিষেবার উন্নতির দাবি করেছেন রোগীর পরিজনেরা। তাঁদের একাংশের আবার বক্তব্য, এর আগেও বেশ কয়েকবার নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেগুলি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বারবার। যেমন, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বহু বারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক সময়ে পরিচালন সমিতি সিদ্ধান্ত নেয়, হাসপাতালের সাফাই কর্মীদের নির্দিষ্ট পোশাক পরে কাজ করতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থাকে সেই নির্দেশের কথা জানানোও হয়। কিন্তু তার পরেও ছবিটার বদল হয়নি।
বর্ধমানের পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত জানিয়েছেন, ‘‘দরপত্র ডাকা হয়ে গিয়েছে। কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy