মঙ্গলকোটে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস। রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
চাকা ফেটে যাওয়ায় বড়সড় বিপত্তি এড়াতে নয়ানজুলিতে বাস নামিয়ে দিয়েছিলেন চালক। আর সেই দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হল এক কিশোরের। জখম প্রায় ৪৯ জন। রবিবার সকালে মঙ্গলকোটের আমডাঙা-গোবিন্দপুর গ্রামের কাছে মঙ্গলকোট-গুকসরা রোডের উপরে দুর্ঘটনাটি হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম থেকে ভায়া গুসকরা হয়ে বর্ধমানের দিকে আসছিল বাসটি। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ আচমকা বাসের সামনের একটি চাকা ফেটে যায়। আর তারপরেই চালক বাসটিকে রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে নামিয়ে দেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র ছুটে আসেন লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। উদ্ধার করা হয় যাত্রীদের। জখম যাত্রীদের গুসকরা ও মঙ্গলকোট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও ২৬ জনের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। জখমদের অধিকাংশই মহিলা বলে জানা গিয়েছে। তিন জনের চোট গুরুতর হওয়ায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়েছে বলে খবর। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে মৈনুল হাসান (১৫) নামে মঙ্গলকোটের নবগ্রামের বাসিন্দা এক কিশোর। চিকিৎসকেরা জানান, মাথায় ও ঘাড়ে গুরুতর চোট পেয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের। সে পালিগ্রাম পিএস বিদ্যামন্দিরের সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। মৃতের আত্মীয় শেখ তালেব জানান, মৈনুল এ দিন গুসকরায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যাচ্ছিল।
উদ্ধার কাজে হাত লাগান শেখ সোলেমান। তিনি বলেন, ‘‘গিয়ে দেখি কেউ ঘাড়ে, মাথায় চোট পেয়েছেন।’’ বর্ধমান মেডিক্যালের জরুরি বিভাগের বেডে শুয়ে চিন্তা মণ্ডল, সরমা রায়ের বলেন, ‘‘গুসকরায় টিউশন পড়তে যাচ্ছিলাম। আচমকা দুর্ঘটনায় হুমড়ি খেয়ে পড়ি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, বাসের চালক ও খালাসি পলাতক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy