—ফাইল চিত্র।
বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় সিবিআই নয়, সিআইডি-র হাতেই তদন্তভার রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রানিগঞ্জের ওই ঘটনায় সিআইডি-কে আগামী দু’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর দুপুরে রানিগঞ্জে নেতাজি সুভাষ বসু রোডের কাছে বাড়িতে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বধূ পুষ্পা ভালোটিয়ার দেহ মেলে। পুষ্পার দাদা, কলকাতার বাসিন্দা গোপাল অগ্রবাল পুলিশকে জানান, সে দিন বোনের স্বামী মনোজ ভালোটিয়া তাঁকে ফোন করে দাবি করেন, পুষ্পা আত্মঘাতী হয়েছেন।
কিন্তু গোপালবাবু মনোজ, তাঁর দাদা রাজেশ ও বৌদি সবিতার বিরুদ্ধে রানিগঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। গত ডিসেম্বরে তদন্তভার যায় সিআইডি-র কাছে। কিন্তু এর পরে আট মাস কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ ও সিআইডি-র বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ফের মামলা করেন গোপালবাবু। সপ্তাহখানেক আগে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।
সোমবার সেই রায় খারিজ করে প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা করেছিল রাজ্য সরকার। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, সিআইডি-কে আগামী দু’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে। আরও নির্দেশ দেওয়া হয়, পুষ্পার স্বামী মনোজ সিআইডি-র তদন্তকারী অফিসারের কাছে ৬ সেপ্টেম্বর হাজির হবেন এবং তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করবেন। তিনি কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না।
এ দিন রাজ্যের কৌঁসুলি শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চে জানান, কী কারণে সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া উচিত, বিচারপতি মান্থা তা তাঁর নির্দেশে জানাননি। সিআইডি এখনও তদন্ত শেষ করেনি। অভিযুক্ত মনোজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বাকি রয়েছে। পুষ্পার দাদা গোপাল অগ্রবালের আইনজীবী অহীন চৌধুরী আদালতে জানান, পুষ্পার হাত-পা অগ্নিদগ্ধ ছিল। মাথায় গুলি করা হয়েছিল বলে ময়না-তদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেও মনোজকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাই তাঁর মক্কেল সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy