শম্পা ঘটক
এক যুবতীকে খুনের অভিযোগ উঠল। বুধবার রাতে সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুরের শ্রীকৃষ্ণপল্লি এলাকার ঘটনা। ‘দোষী’দের গ্রেফতারের দাবিতে শম্পা ঘটক (২৪) নামে ওই বধূর বাপের বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসীর একাংশ রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি ও সালানপুর থানায় বিক্ষোভও দেখান।
পুলিশ জানায়, ওই রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে শম্পার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। শম্পার বাবা প্রাক্তন রেলকর্মী বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বৃহস্পতিবার সকালে সালানপুর থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ২০১৭-র জানুয়ারিতে তাঁর মেয়ের সঙ্গে সালানপুরের আছড়া পঞ্চায়েতের শ্রীকৃষ্ণপল্লির একজনের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ের ছ’মাস পরে থেকেই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য শম্পাকে চাপ দিতে থাকে তাঁর স্বামী। তা সম্ভব নয় জানালে তাঁর মেয়েকে অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ বিশ্বনাথবাবুর। তিনি বলেন, “বুধবার রাত ১১টা নাগাদ ফাঁড়ি থেকে ফোন এলে মেয়ের মৃত্যু সংবাদ জানতে পারি।”
পুলিশ জানায়, শম্পার স্বামীর একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে। ওই দম্পতির বছর দেড়েকের একটি ছেলেও রয়েছে। তবে, বৃহস্পতিবার শম্পার শাশুড়ি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, “বৌমা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। ও দোতলার ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করে।”
পুলিশ জানায়, শম্পার শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, শম্পার শাশুড়ি জেরায় তাঁদের কাছে জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে দোতলায় থাকত। বুধবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ শম্পা ছেলেকে একতলায় খাবার খাইয়ে তাকে ঘুম পাড়াতে দোতলায় ওঠেন। এর বেশ কিছুক্ষণ পরে তাঁরা বাড়ির কাজে উপরে উঠে শম্পাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বলে দাবি ওই বধূর শাশুড়ির।
শম্পার বাপের বাড়ির তরফে তাঁর শাশুড়ি, খুড়শাশুড়ি ও স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। ‘নিহতে’র স্বামী ও খুড়শাশুড়ি পলাতক বলে পুলিশ জানায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy