—প্রতীকী ছবি
এক খনিকর্মীর মৃত্যুর পরে দাবি আদায়ের জন্য খনির তিন আধিকারিককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল অণ্ডালের পরাশকোলে। ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার পরাশকোল ইস্ট কোলিয়ারিতে পার্সোনেল ম্যানেজার-সহ ওই আধিকারিকদের বৃহস্পতিবার হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে অণ্ডাল থানায় অভিযোগ করেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
খনি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা নাগাদ কাজে যোগ দেন খনিকর্মী রূপলাল মাজি (৪৫)। সাড়ে ৮টা নাগাদ তিনি অসুস্থ বোধ করায় অদূরে খনিকর্মী আবাসনে নিজের বাড়িতে চলে যান। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন তাঁকে সংস্থার কাল্লা সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। সে দিন দুপুর ২টো নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
কোলিয়ারি সূত্রের খবর, রূপলালবাবুর মৃত্যুর খবর জানার পরে কেকেএস, এইচএমএস-সহ চারটি শ্রমিক সংগঠন খনি চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করে। মৃতদেহ নিয়ে এসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। খনির এক আধিকারিকের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কর্মী খনি থেকে চলে গেলে তাঁর নামের পাশে যাওয়ার সময়ে ‘আউট’ লেখা হয়। রূপলালবাবুর ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম পালন করা হয়েছিল। কিন্তু, কেকেএসসি-র তিন কর্মী, যাঁরা এই খনিতে কাজ করেন না, তাঁরা বচসা জুড়ে দেন। ওই খনি আধিকারিকের অভিযোগ, ‘‘এর উত্তর দিতে গেলে পার্সোনেল ম্যানেজার দীনবন্ধু মণ্ডলকে ওই তিন জন মারধর করে। প্রতিরোধ করতে গিয়ে নিগৃহীত হন খনির এজেন্ট বিশ্বজিৎ কর্মকার এবং ম্যানেজার রমেশকুমার পাণ্ডে।’’
দীনবন্ধুবাবু অভিযোগ করেন, গৌতম নুনিয়া, সোনু সিংহ, নাদিম খান নামে বহিরাগত ওই তিন জনের বিরুদ্ধে অণ্ডাল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করা হলে তাঁরা প্রতিবাদ-আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি আধিকারিকদের।
অভিযুক্তেরা অবশ্য মারধর বা নিগ্রহের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কেকেএসসি-র সাধারণ সম্পাদক হরেরাম সিংহ জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংগঠনের তরফে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy