Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Kanksa

নিহতের মূর্তি বিকৃত করার চেষ্টা, নালিশ

দলের নিহত বুথ সভাপতির আবক্ষ মূর্তি বিকৃত করার চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল, এই অভিযোগে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে মুচিপাড়া-শিবপুর রাস্তা অবরোধ করল বিজেপি।

প্রতিবাদে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।

প্রতিবাদে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৪৪
Share: Save:

দলের নিহত বুথ সভাপতির আবক্ষ মূর্তি বিকৃত করার চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল, এই অভিযোগে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার সকালে মুচিপাড়া-শিবপুর রাস্তা অবরোধ করল বিজেপি। কাঁকসার রূপগঞ্জের ঘটনা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

২০১৮-র ৯ ডিসেম্বর রূপগঞ্জের বাসিন্দা বিজেপির বুথ সভাপতি সন্দীপ ঘোষকে গুলি করে খুন করা হয়। এর পরে, ২০২০-র ৯ ডিসেম্বর রূপগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে সন্দীপবাবুর আবক্ষ মূর্তিটির উন্মোচন করেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।

সন্দীপবাবুর বাবা বিজয় ঘোষের সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে অভিযোগ, প্রতিদিনের মতো এ দিনও সকালে ছেলের মূর্তি ধূপ দিতে গিয়েছিলেন তিনি ও তাঁর মেয়ে। গিয়ে দেখেন, ছেলের মূর্তি বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ‘‘ইট-পাথর দিয়ে মূর্তিটি ভাঙার চেষ্টা করা হয়। পাথরের মূর্তি হওয়ায় সে ভাবে ক্ষতি হয়নি। মূর্তি বসানোর আগেই কয়েকজন তৃণমূল নেতা এখানে মূর্তি বসাতে নিষেধ করেছিলেন। পাত্তা দিইনি। তাই এখন ছেলেকে মেরে মূর্তিটাকেওনষ্ট করছে।’’

এ দিকে, ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসেন বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, দলের নেতা চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় আধ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ চলে। লক্ষণবাবুরও অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা সন্দীপকে খুন করেছিল, তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশে অভিযোগ করেছি।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী বলেন, ‘‘বিজেপি এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে নিজেরাই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’

শেষ পর্যন্ত পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kanksa BJP TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE