Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রার্থী দেওয়া গিয়েছে, মেমারিতে তৃপ্ত কংগ্রেস

গত পুরভোটে চারটি আসনের দখল পেলেও পরে নানা কারণে তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের ওই চারজনেই। এ বার মেমারিতে সবক’টি ওয়ার্ডে প্রার্থীই দিতে পারেনি তারা। তাতেও হতোদ্যম না হয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের সন্ত্রাস ও হুমকি অগ্রাহ্য করে ১৩ জন যে প্রার্থী হতে এগিয়ে এসেছেন এটাই অনেক।

রানা সেনগুপ্ত
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৪
Share: Save:

গত পুরভোটে চারটি আসনের দখল পেলেও পরে নানা কারণে তৃণমূলে যোগ দেন কংগ্রেসের ওই চারজনেই। এ বার মেমারিতে সবক’টি ওয়ার্ডে প্রার্থীই দিতে পারেনি তারা। তাতেও হতোদ্যম না হয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের সন্ত্রাস ও হুমকি অগ্রাহ্য করে ১৩ জন যে প্রার্থী হতে এগিয়ে এসেছেন এটাই অনেক।

গত বার তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে মেমারি পুর এলাকার চারটি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। ৩, ১০, ১৩ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম বিরোধী হওয়াকে কাজে লাগিয়ে ১৬টি ওয়ার্ডেই জিতেছিল বিরোধীরা। কংগ্রেস পেয়েছিল চারটি আসনই। কিন্তু ভোট মিটতেই একে একে তৃণমূলে যোগ দেন ওই চার জন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তৃণমূলে যোগ না দিলে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হতো ওয়ার্ড। তাই দল ছাড়েন তাঁরা। এ বারও চার জনেই তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন। মেমারির কংগ্রেস নেতাদের দাবি, ওই নেতাদের দল ছাড়াই কংগ্রেসের ভেতরে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল। এ বার তাই গোড়া থেকেই প্রার্থী বাছাই করতে হয়েছে।

দলের এআইসিসি সদস্য সেলিম মোল্লার দাবি, “আমরা আসলে ১১, ১২ আর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পারিনি। পরে ১৪ নম্বরে তৃণমূলের এক বিক্ষুব্ধ প্রার্থী রঞ্জিত বাগকে সমর্থন করেছি।” তৃণমূলের একাংশের দাবি, এই রঞ্জিতবাবুর নাম জেলার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ঘোষিত তৃণমূলের প্রাথমিক তালিকায় ছিল। কিন্তু পরে তাঁকে বাদ দিয়ে ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করে নির্মল রায়কে। এতেই বিক্ষুদ্ধ হয়ে রঞ্জিতবাবু কংগ্রেসের সমর্থন নিয়েছেন।

কিন্তু ১১ ও ১২ নম্বরে প্রার্থী দেওয়া গেল না কেন? সেলিম মোল্লার দাবি, “১১ নম্বর ওয়ার্ডটি আদিবাসী অধ্যুষিত। এখানে আমরা প্রার্থী করার মতো কাউকে পাইনি। আর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী মিললেও প্রস্তাবক মেলেনি।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘দুটি ওয়ার্ডেই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছিল তৃণমূল।” তবে এই পরিস্থিতিতেও, বিশেষত তৃণমূলের সন্ত্রাস ও হুমকি অগ্রাহ্য করে যে ১৩ জন প্রার্থী হতে তা অত্যন্ত ইতিবাচক। তাঁদের আশা, ওই ওয়ার্ডগুলিতে ভাল ফল করবে দল। প্রার্থীরা জয়ীও হবেন।

জেলা কংগ্রেস গ্রামীণের এক নেতারও দাবি, ‘‘গত বার তৃণমূলের সঙ্গে জোট ছিল বলে মেমারিতে কংগ্রেস প্রার্থী হতে চাইছিলেন অনেকে। কিন্তু এ বার জোট নেই। এমনিতেই প্রার্থী পাওয়া মুশকিল। তবু মেমারির ১৬ মধ্যে ১৩টিতে যে আমরা প্রার্থী দাঁড় করাতে পরেছি, সেটাই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। হারা-জেতা রের কথা, এ বার অন্তত আমরা মেমারিতে লড়াই করছি।” জেলা কংগ্রেস গ্রামীণের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যাযের দাবি, “অন্য দলের মতো আমাদের দলে প্রার্থী হওয়া নিয়ে কোনও অর্ন্তদ্বন্দ্ব নেই। যিনি একটি ওয়ার্ডে প্রার্থী হচ্ছেন, তাঁকে হারাতে তো আমাদের দলের কোনও গোষ্ঠী সক্রিয় হবে না। দল ঐক্যবদ্ধ। সেটাই বড় কথা।”

তবে তৃণমূল নেতা তথা বিদায়ী পুরপ্রধান স্বপন বিষয়ী সন্ত্রাস ও হুমকির সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘সন্ত্রাস নেই বলেই তো এতগুলো ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে পেরেছে ওরা। তবে জেতার কোনও আশা নেই। আমরাই ১৬-০ জিতব।’’

ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল পূর্বস্থলীর রহড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৌমিতা সিংহ (১৭) নামে ওই ছাত্রীকে বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরের একটি আমগাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বাড়ির লোকেরা মৌমিতাকে প্রথমে স্থানীয় অগ্রদীপ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে কাটোয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। মৌমিতাকে শেষ পর্যন্ত বর্ধমানের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হলে বুধবার সেখানেই গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশের অনুমান, অগ্রদীপ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া মৌমিতা বাবার বকুনির জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE