Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কাটোয়ায় দাপট, কালনার সর্বত্র নেই কংগ্রেস

কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, ফের পুরবোর্ড গঠন করতে পারলে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়নের কাজ করা হবে মনোনয়ন দিতে এসে এমনটাই জানালেন কাটোয়ার বিধায়ক তথা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার তিনি ছাড়াও কংগ্রেসের আরও দু’জন মনোনয়ন জমা দেন। তবে কাটোয়ায় কংগ্রেসের ২০ বছরের রাজত্ব হলেও কালনাতে সবক’টি ওয়ার্ডে প্রার্থীই দিতে পারেনি তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া ও কালনা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৪:০৬
Share: Save:

কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, ফের পুরবোর্ড গঠন করতে পারলে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়নের কাজ করা হবে মনোনয়ন দিতে এসে এমনটাই জানালেন কাটোয়ার বিধায়ক তথা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার তিনি ছাড়াও কংগ্রেসের আরও দু’জন মনোনয়ন জমা দেন। তবে কাটোয়ায় কংগ্রেসের ২০ বছরের রাজত্ব হলেও কালনাতে সবক’টি ওয়ার্ডে প্রার্থীই দিতে পারেনি তারা।

এ দিন তৃণমূলের কাটোয়া শহরের সভাপতি অমর রাম-সহ ৫ জনও মনোনয়নপত্র জমা দেন। কাটোয়া মহকুমা নির্বাচনী দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে ৮৫টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল ছাড়াও সব আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম ও বিজেপি।

১৯৯৫ সাল থেকে কাটোয়াতে রবীন্দ্রনাথবাবুর নেতৃত্বে কংগ্রেস পুরবোর্ডে রয়েছে। ২০১০ সাল পযর্ন্ত রবীন্দ্রনাথবাবু পুরপ্রধান ছিলেন। গত বার জয়ী মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় শুভ্রা রায় পুরপ্রধান হন। এ দিন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আমরা নির্বাচনের আগে কোনও প্রতিশ্রুতি দিই না। প্রতিটি ওয়ার্ডে মানুষের সঙ্গে বসে চাহিদা মতো উন্নয়নের কাজ করা হয়।”

কংগ্রেসের দাবি, গত ৫ বছরে দীর্ঘদিনের চাহিদা অনুযায়ী কাটোয়া শ্মশানঘাটে ২টি ইলেকট্রিক চুল্লি, ভাগীরথী থেকে জল উত্তোলন করে পানীয় জল প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া, রাস্তার মোড়ে বাতিস্তম্ভ লাগানো হয়েছে। সৌন্দর্যায়নের কাজও চলছে। পুর বাজার তৈরি করা হয়েছে বলেও তাদের দাবি। তবে জোরকদমে নেমেছে তৃণমূলও। তৃণমূলের কাটোয়ার নির্বাচনী পর্যবেক্ষক তথা জেলার সহ সভাপতি কাঞ্চন মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “কংগ্রেস দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও ন্যূনতম উন্নয়ন করেনি। উল্টে মানুষকে যে কোনও পরিষেবা নিতে গেলে হয়রানির শিকার হতে হয়।” তৃণমূলের আরও অভিযোগ, বাড়ির প্ল্যান তৈরিতে হয়রানি হয়, শহরের নিকাশিও বেহাল। তাই মানুষ কংগ্রেসের থেকে মুখ ফেরাবে। সিপিএমও ২০ বছরের অনুন্নয়নের পরিবেশ থেকে মুক্ত করার আবেদন নিয়ে মানুষের কাছে যাবে বলে ঠিক করেছে। দলের বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০ বছরে কাটোয়ার কোনও উন্নয়ন হয়নি। পুনরায় বামদের ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষের কাছে বলা হবে।”

এ দিকে কালনা শহরে সব ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা দিতে পারল না কংগ্রেস। বুধবার, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা দেয় কংগ্রেস।

তৃণমূল দল গঠনের পর থেকেই কালনায় কংগ্রেস একক ভাবে লড়েনি কখনও। কখনও জোট, কখনও আসন সমঝোতা করে লড়াই চলেছে। গত বার জোট করে লড়ার পরে কংগ্রেসের দখলে ছিল পাঁচটি ওয়ার্ড। তবে একে একে বেশ কিছু দলীয় কর্মী সমর্থক ও পাঁচ কাউন্সিলার তৃণমূলে ভিড়ে যান। এ বার কংগ্রেস শুরু থেকেই একক ভাবে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়া যায় নি বলে দাবি কংগ্রেস কর্মীদের। শহর কংগ্রেসের নেতা লক্ষ্মন রায় বলেন, “চেষ্টা করা হয়েছিল সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়ার। শেষ পর্যন্ত ১২টি ওয়ার্ডে দেওয়া গিয়েছে। আশা করছি ওই ওয়ার্ডগুলিতে দল ভাল ফল করবে।” এ দিন মনোনয়ন জমা দেওয়া এক কংগ্রেস কর্মীর অভিযোগ, “এই এলাকায় আমাদের ভাল ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। দল একটু তত্‌পর হলে সব ওয়ার্ডেই প্রার্থী দেওয়া যেত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE